কলকাতা: একটি-দুটি নয়, রাজ্যে রাইস মিলের সংখ্যা প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০। খাদ্য দফতরের অধীনেই তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নিয়ম বলছে, কোনও মিলের বিরুদ্ধে যদি পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়, তাহলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। অভিযোগ সামনে আসার পর আর পুনর্নবীকরণ করার তো কোনও প্রশ্নই নেই! কিন্তু এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দিনের পর দিন চলেছে চালকল। লাইসেন্স বাতিল হওয়া তো দূরের কথা, রিনিউ করার ক্ষেত্রেও কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁর। থানায় অভিযোগ দায়ের পরও রমরম করে চলেছে বাকিবুরের মিল। গম ভাঙিয়ে আটা তৈরির করার বরাতও পেয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, এটা কীভাবে সম্ভব?
রেশন দুর্নীতিতে অনেক আগেই গোয়েন্দাদের নজরে আসে এনপিজি রাইস মিল, যার মালিক এই বাকিবুর রহমান। বর্তমানে জেলে থাকা বাকিবুরের সেই মিলের সঙ্গে রেশন দুর্নীতির বড়সড় যোগ ছিল বলে অনুমান এনফোর্সমেন্টের ডিরেক্টরেটের। তদন্ত চলাকালীন ইডি-র হাতে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে এনপিজি রাইস মিলের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। চুরির আটা ভাঙানোর অভিযোগ ওঠে মিলের বিরুদ্ধে।
তারপর একবার নয়, দু বার লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হয়েছে বাকিবুরের সেই সংস্থার লাইসেন্স। সরকারি দফতরের চোখ এড়িয়ে গেল নাকি এর পিছনে কোনও প্রভাবশালী হাত ছিল, সেটাই খতিয়ে দেখছে ইডি। প্রশ্ন উঠছে, খোদ মন্ত্রী যুক্ত ছিলেন বলেই কি বরাত পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি বাকিবুরের। শুধু মন্ত্রী নন, এ সব ক্ষেত্রে লাইসেন্স দেওয়ার আগে অফিসারদের অনুমোদন লাগে। সেখানেও পৌঁছে গিয়েছিল ছিল দুর্নীতির হাত? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি।
উল্লেখ্য, তদন্তকারী সংস্থা আগেই দাবি করেছে বাকিবুরের সঙ্গে যোগ ছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তাঁর সংস্থা থেকে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল বলেও দাবি তদন্তকারীদের।