কলকাতা: রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানের নতুন-নতুন কীর্তির কথা কারোর অজানা নয়। নিত্যদিন নদিয়া-উত্তর ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায় খোঁজ মিলছে নতুন-নতুন সম্পত্তির। শুধু তাই নয়, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল বেনামি অনেক রেশন দোকানও ছিল তাঁর। এবার বেনামি সকল ডিস্ট্রিবিউটার এবং হোলসেলারদের কাছে পৌঁছল Tv9 বাংলা। তবে কেউ স্বীকার করতে নারাজ যে তাঁরা বাকিবুরকে চেনেন।
হোলসেলার মালবিকা কাবাসি। বছর দু’য়েক ধরে কাজ করেন হিসাবরক্ষক হিসাবে। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, বাকিবুরের নাম শুনেছেন টিভিতে। তবে তাঁকে চেনেন না। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য নাম উঠে এল প্রোমোদ সাউয়ের। সূত্রের খবর, বর্তমানে ইডি-র র্যাডারে রয়েছেন এই ব্যক্তিও। প্রোমোদ সাউ হোলসেলারের পাশাপাশি ট্রান্সপোর্টার ছিলেন। খাদ্য দফতরেও তিনি ট্রান্সপোর্টার হিসাবে পরিচিত বলে খবর। জানা গিয়েছে, একসময় খাদ্য দফতরের তরফে জানানো হয় হোলসেলার-ডিস্ট্রিবিউটারদের খাদ্য-সামগ্রী দেওয়ার জন্য কোনও গাড়ি দেওয়া হবে না। নিজেদের গাড়ি নিয়ে আসতে হবে সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য। অভিযোগ, তখনই খাদ্য দফতরে বাকিবুরকে নিয়ে যায় প্রোমোদ সাউ। সেই থেকেই ধীরে ধীরে রেশন ব্যবসায় প্রবেশ বাকিবুরের।
উল্লেখ্য, নানা প্রান্তে আটা মিল, রাইস মিল ছাড়াও নানা সম্পত্তি রয়েছে বাকিবুরের সে খবর আগেই পেয়েছে ইডি। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার নানা প্রান্তেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। নিউটাউনে রয়েছে তাঁর বাড়ি, ফ্ল্যাট। এছাড়াও ইডি মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে বালু ঘনিষ্ঠদের আটটি জেলায় জমি রয়েছে, নানা সম্পত্তি রয়েছে, বাড়ি রয়েছে।