কলকাতা: আবার ফাঁস রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানের নতুন কীর্তি। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বেশ কয়েকটি বেনামি রেশন দোকান রয়েছে। বাড়িতে তল্লাশি চলানোর সময় বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই নথি থেকেই বেনামি দোকানের হদিশ পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে কাদের নামে এই দোকান, কটি দোকান রয়েছে, তাঁদের পরিচয়ই বা কী সবটাই খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, এখানে প্রশ্ন উঠছে খাদ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও। দীর্ঘদিন ধরে বেনামি রেশন দোকান চললেও তারা কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি বা এই দোকানগুলি কারা চালচ্ছেন সেই তথ্য তদন্ত করে দেখেনি ? নাকি সরকারকেও বেমালুম ঘোল খাইয়েছে বাকিবুর? সেই নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেই মূলত রেশন দুর্নীতির গন্ধ পান ইডি আধিকারিকরা। সেই সময় উত্তর ২৪ পরগনা-নদিয়ার একাধিক রাইস মিলে তল্লাশি চালান তাঁরা। নাম জড়ায় রেশন ডিলার বাকিবুর রহমানের। প্রায় ৫২ থেকে ৫৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশি চালানোর দিন বেশ কিছু নথি পত্র উদ্ধার হয়। এর পাশাপাশি নিজেদের হেফাজতে নিয়েও বারংবার তাঁকে জেরা করা হয়। সেই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এক প্রকার নিশ্চিত বাকিবুর রহমানের বেনামে বেশ কিছু রেশন দোকান রয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সকল বেনামি দোকানগুলি অতি দ্রুত তল্লাশি চালাবেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
তবে শুধু ইডি নয়, এর আগে আইটি স্ক্যানারেও ছিল বাকিবুর রহমান। তাঁর সংস্থা এনপিজি গ্রুপের সঙ্গে সরকারি অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটারদের আর্থিক লেনদেন পাওয়া গিয়েছিল। সেই সকল লেনদেনও সন্দেহ জনক বলে দাবি আয়কর দফতরের। এবার সেই সকল নথিপত্র খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডিও। ইতিমধ্যে আয়কর দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তারা। সূত্রের খবর, সেই সকল ডিস্ট্রিবিউটারদের সঙ্গে কথা বলবেন গোয়েন্দারা।