কলকাতা: ইডির নজরে শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়কই নন, নজরে মন্ত্রীর হিসাবরক্ষকও। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মন্ত্রীর হিসাবরক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্যের নেতাজি নগরের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর আর্থিক লেনদেন, হিসাবপত্র সংক্রান্ত মূলত একাধিক তথ্য তালাশ করছেন তাঁরা। এর আগেও একদিন শান্তনুর বাড়িতে যায় ইডি। তবে সেদিন বাড়িতে ছিলেন না শান্তনু। তিনি কলকাতায় ফিরতেই তদন্তকারীরা আবার প্রায় ঘণ্টা ছ’য়েক তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পর রাত ৭টা ১৮-এর নাগাদ বেরিয়ে যায় ইডির দল।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গত শুক্রবার গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস ও বর্তমান আপ্ত সহায়ক অমিত দে (যদিও অমিতের দাবি তিনি আপ্ত সহায়ক নন)-কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। নজরে শান্তনুও।
ইডি তদন্তে মূলত তিনটি সংস্থার খোঁজ পেয়েছে। শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেশিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেশিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড। এই তিনটি সংস্থাই ভুয়ো বলে দাবি তদন্তকারীদের। এই শেল বা ভুয়ো সংস্থাকে সামনে রেখে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হতো বলে তদন্তকারীদের দাবি। ইডি সূত্রে খবর, এই সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যা হিসাব বা টাকা লেনদেন, সবটাই নজরে ছিল শান্তনু ভট্টাচার্যের।
ইডি সূত্রে খবর, এই শেল কোম্পানির টাকাই পরে আরও দু’টি সংস্থায় বিনিয়োগ হয়। এ জে অ্যাগ্রোটেক ও এজে রয়্যাল অ্যান্ড কোম্পানি। পার্টনারশিপে ছিল দুই সংস্থা। অথচ এই দুই কোম্পানিতে কোনও কাজ হতো না বলেই মনে করছে ইডি। অভিযোগ, দুই সংস্থার ডামি ডিরেক্টরদের অন্যতম শান্তনু ভট্টাচার্য। অন্যদিকে এদিন সাড়ে চার ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসেন জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস। বেরিয়ে তিনি বলেন, যে ডায়েরি নিয়ে এত চর্চা হচ্ছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি নথি জমা দিলেন আজ। তাঁকে আর ডাকা হয়নি বলেও এদিন দাবি করেন তিনি।