কলকাতা: চারদিন পর রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হেফাজতে পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সোমবার রাতেই হাসপাতাল থেকে বালু মল্লিককে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্স। একেবারে গট গট করে হেঁটে তদন্তকারীদের গাড়িতে ওঠেন মন্ত্রী। বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গাড়ি মোড় নেয় সল্টলেকের দিকে। গন্তব্য সিজিও। ইডির অফিসেই রাত কেটেছে রাজ্যের শাসকদলের ‘হেভিওয়েট’ এই নেতার। আগামী ১০ দিন এটাই ঠিকানা বালুর। সূত্রের খবর, আজ সকাল থেকেই ইডির জেরার মুখে পড়তে পারেন মন্ত্রী।
গরিবের মুখের গ্রাস কেড়ে পকেটে ভরার অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে নদিয়ার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর রেশ ধরেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও গ্রেফতার করা হয় গত শুক্রবার। সেদিন কোর্টরুমে ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বালু। সেই থেকে সোমবার রাত অবধি বেসরকারি হাসপাতালই তাঁর ঠিকানা ছিল। তবে কাল রাত থেকে সেই ঠিকানা বদল হয়েছে।
সূত্রের খবর, বালুকে রাখার জন্য ইডি দফতরে বিশেষ সেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ থেকেই তাঁকে জেরা শুরু করা হতে পারে। তাঁকে জেরা করার ক্ষেত্রে আপাতত কোনও বাধা নেই বলেই সূত্রের খবর। মেডিক্যাল বোর্ড ইতিমধ্যেই বালুর শারীরিক অবস্থার যে সার্টিফিকেট দিয়েছে, তাতে তিনি মোটের উপর সুস্থই। যদিও কিছু পরামর্শ আছে। যেমন দিনে চারবার ইনসুলিন নিতে হবে মন্ত্রীকে। ফিজিওথেরাপি করাতে হবে, চলবে ঘাড়ের ব্যায়াম। নিতে হবে কিছু ওষুধও। তবে সূত্রের দাবি, গ্রেফতার হওয়ার আগেও এই নিয়মেই থাকতেন মন্ত্রী। সেই রুটিনই কার্যকর করতে বলা হয়েছে। বাড়তি কিছু বলা হয়নি। ফলে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে যদিও বালুর আইনজীবী আদালতের দ্বারস্থ হতে চানও, সেক্ষেত্রে এ তত্ত্ব খাটার সম্ভাবনা খুবই কম।