Ration Scam: ‘কাস্টডিতে জ্যোতিপ্রিয়র হাতে কাগজ-পেন এল কীভাবে’, এবার নতুন প্রশ্ন শঙ্করের

Supriyo Guha | Edited By: Soumya Saha

Jan 20, 2024 | 1:48 PM

Sankar Addhya: গ্রেফতারির পর থেকেই তিনি দাবি করে আসছিলেন, তাঁকে নাকি ফাঁসানো হচ্ছে। আর আজ ফের একবার সেই চক্রান্তের তত্ত্বই শোনা গেল বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর গলায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে কাগজ-পেন পেলেন, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন শঙ্কর।

Ration Scam: কাস্টডিতে জ্যোতিপ্রিয়র হাতে কাগজ-পেন এল কীভাবে, এবার নতুন প্রশ্ন শঙ্করের
শঙ্কর আঢ্য
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা চিঠির সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। আর সেই চিঠি হাসপাতালে বসেই নাকি লিখেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। একজন জেলবন্দি হাসপাতালে বসে কীভাবে কলম-কাগজ পেলেন, এবার সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। আজ যখন শঙ্করকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার  বনগাঁর দাপুটে তৃণমূল নেতা।

গ্রেফতারির পর থেকেই তিনি দাবি করে আসছিলেন, তাঁকে নাকি ফাঁসানো হচ্ছে। আর আজ ফের একবার সেই চক্রান্তের তত্ত্বই শোনা গেল বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর গলায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে কাগজ-পেন পেলেন, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন শঙ্কর। বললেন, “উনি কাস্টডিতে কীভাবে পেন পেলেন, কীভাবে কাগজ পেলেন? সেটাই আগে বোঝা যাক। এটা শুধুমাত্র ষড়যন্ত্র।”

উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রেশন দুর্নীতি মামলায়। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে এই শঙ্কর আঢ্যর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। গ্রেফতারির পর হাসপাতালে থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয়র একটি চিঠিও নাকি ইডির হাতে এসেছে। ইডির দাবি, সেখানে নাম ছিল শঙ্করের। শঙ্করকে যেদিন বনগাঁর বাড়ি থেকে ইডি গ্রেফতার করে, সেদিনও বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধানের স্ত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁকে বলা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়র জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক সম্পর্কই ছিল তাঁদের।

এদিকে ইডির তরফে আবার আদালতে দাবি করা হয়েছে, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা ভিনদেশে পাচার হয়েছে। আর এই শঙ্করের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে ইডির সন্দেহ, এই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের সংস্থাগুলির মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা বাইরে পাচার হয়েছে। আজ শঙ্কর আঢ্যকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জ্যোতিপ্রিয়র হয়ে তিনি কত টাকা বাইরে পাঠিয়েছেন? প্রশ্ন শুনে শঙ্করের দাবি, ‘আমি কিছু জানি না। এক পয়সাও নিইনি। এটা শুধুই অভিযোগ, কোনও প্রমাণ নেই।’

Next Article