Durga Puja 2021: পুজোয় জমিয়ে গলায় ঢেলেছে সুরাপ্রেমীরা! পাঁচদিনে ১০০ কোটি আয় রাজ্যের

Liquor Sell: সূত্রের খবর, এমনি সময় মদ বিক্রি করে রাজ্যের পাঁচদিনের গড় আয় মোটামুটি ৪০ কোটি টাকার মতো হয়। কিন্তু পুজোর পাঁচদিনে সেই আয় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।

Durga Puja 2021: পুজোয় জমিয়ে গলায় ঢেলেছে সুরাপ্রেমীরা! পাঁচদিনে ১০০ কোটি আয় রাজ্যের
এবার পুজোয় ১০০ কোটি। মদ বিক্রি করে কোষাগার ভরেছে রাজ্যের। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 7:53 AM

কলকাতা: ‘মাল’ বেচে মালামাল বোধহয় একেই বলে! পুজোর পাঁচদিন মন খুলে গলায় সুরা ঢেলেছেন মদিরাপ্রেমীরা। আর সেই সুযোগে ১০০ কোটির ব্যবস্থা করে নিয়েছে রাজ্যও। লক্ষ্মীপুজোর আগেই রাজ্যের কোষাগার একেবারে উপচে পড়ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ষষ্ঠী থেকে দশমী অবধি মদ বিক্রি করে ১০০ কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে রাজ্যের।

সূত্রের খবর, এমনি সময় মদ বিক্রি করে রাজ্যের পাঁচদিনের গড় আয় মোটামুটি ৪০ কোটি টাকার মতো হয়। কিন্তু পুজোর পাঁচদিনে সেই আয় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। অন্যান্যবার দশমীতে মদের দোকান বন্ধ থাকে। সে দিন থাকে ‘শুখা দিবস’। পোশাকি নাম ‘ড্রাই ডে’। তবে এবার আর সে সব শুকনো দিবসের পথে হাঁটেনি রাজ্য। ফলে দেদার বিক্রি হয়েছে পাঁচদিন ধরে।

তবে সব থেকে বেশি আয় হয়েছে নবমীতে। পরদিনই কৈলাসে পাড়ি দেবেন মা। নবমীতে মনটা একটু বেশিই ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে। ফলে বিষাদ ভুলতে দেদার মদ কিনেছেন সুরাপায়ীরা। নবান্ন সূত্রে খবর, নবমীর দিন মদ বিক্রি করে প্রায় ৩০ কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে। রাজ্য আবগারি দফতর বলছে এবার পুজোর সময় কার্যত রেকর্ড মদ বিক্রি হয়েছে।

রাজ্যের কোষাগার ভরতে সব থেকে বেশি ‘অবদান’ পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার। এই দুই জেলাই পাঁচদিনে প্রায় ২৮ কোটি টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দিশি হোক বা বিলিতি, জেলাগুলিতে পারফরম্যান্স কারও খারাপ নয়। বিয়ারও কিনেছেন অনেকেই। কোটির নিচে কোনও হিসাব নেই!

গত কয়েকদিনে চোলাই রুখতে একের পর এক অভিযান চালিয়েছে আবগারি দফতর। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন, এতেই কাজ হয়েছে। চোলাই না পাওয়ায় লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানেই ছুটতে হয়েছে সুরাপ্রেমীদের। অন্যদিকে বিলিতি মদের দামও এখন কিছুটা বেড়েছে। সেটাও কোষাগার ভরতে সহযোগিতা করেছে। মূল্যবৃদ্ধি হলে সমস্ত ক্ষেত্রেই প্রতিবাদ-আন্দোলন শুরু হয়, একমাত্র মদের দাম বাড়লেই তা নিয়ে কেউ আর প্রকাশ্যে খুব একটা শোরগোল করেন না। আর এই লাভের ফসল ওঠে আবগারি দফতরের ঘরে।

যদিও এবার পুজোয় মোটে ‘আবগারি ওয়েদার’ ছিল না। চোখে ঝিলমিল লাগানোর মতো রোদ আর বিচ্ছিরি গরম ছিল দিনের বেলা। রাতেও খুব একটা স্বস্তি মেলেনি। নবমীর পর থেকে আবহাওয়া বদলেছে। তবে আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, তাকে কী ভাবে অনুকূলে আনতে হয় তা সুরাপ্রেমীরা ভালই জানেন। আর সেই হাতযশেই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার উপচে পড়ছে আবগারি দফতরের।

আরও পড়ুন: আজও সব জেলাতেই বৃষ্টি, লক্ষ্মীপুজোর দিন দুর্যোগ কাটবে? জানাল হাওয়া অফিস

আরও পড়ুন: RG Kar Hospital: মুমূূর্ষু রোগী হাপুস নয়নে কেঁদেও মন গলাতে পারছেন না ডাক্তারদের, ‘অচল’ আরজি করে এবার চালু হেল্পলাইন নম্বর