Kuntal Ghosh: কুন্তলের অণ্ডকোষ চেপে ধরেছিল নাকি CBI, প্রসঙ্গ উঠল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Apr 17, 2023 | 10:43 PM

Recruitment Scam: কুন্তলের অভিযোগের সারবত্তা হল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর উপর চাপ তৈরি করছে জোর করে রাজনৈতিক নেতাদের নাম বলানোর জন্য। তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন কুন্তল।

Kuntal Ghosh: কুন্তলের অণ্ডকোষ চেপে ধরেছিল নাকি CBI, প্রসঙ্গ উঠল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে
কুন্তল ঘোষ।

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন হেস্টিংস থানায়। অনেক অভিযোগের কথা শুনিয়েছেন কুন্তল। সেই অভিযোগের সারবত্তা হল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর উপর চাপ তৈরি করছে, জোর করে রাজনৈতিক নেতাদের নাম বলানোর চেষ্টা করছে। তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ কুন্তলের। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার অভিযোগ অনুযায়ী, ঠিক কী হেনস্থা করা হয়েছিল কুন্তলকে? কোন মাত্রায় ছিল সেই হেনস্থা? জানেন কি? আদালতের নির্দেশনামায় মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্যে উঠে এসেছে সেই অভিযোগের কথা। কী বলা হয়েছে সেখানে?

আদালতের নির্দেশনামায় বলা হচ্ছে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সেদিন কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিকাশবাবুর বক্তব্য ছিল, যদি কোনও ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে অত্যাচার করা হয়, তাহলে তিনি এরকম চিঠি লিখতে পারতেন না। বিশেষ করে কুন্তলের অণ্ডকোষ চেপে ধরার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেন বিকাশবাবু। কুন্তলের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে বিকাশবাবু প্রশ্ন তুলেছিলেন, প্রবল ব্যথা পেয়েছিলেন কুন্তল, তাহলে তিনি হাসছেন কীভাবে?

হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশনামায় লিখেছেন, একজন মানুষের অণ্ডকোষ চেপে ধরলে তিনি হাসতে পারেন কি না, সেই বিষয়ে মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা দরকার এবং সিবিআইয়ের সেটি জানা উচিত।

যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই সঙ্গে নির্দেশনামায় এও উল্লেখ করেছেন, কুন্তল ঘোষ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে ছিলেন। কিন্তু সিবিআই হেফাজতের পরে সিবিআই-এর ডিআইজির বিরুদ্ধে অত্যাচারের কোনও অভিযোগ জানাননি কুন্তল। এমনকী যখন তিনি ইডির হেফাজতে ছিলেন, সেই সময়েও তিনি ইডির তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানাননি। প্রথমবার কুন্তল অভিযোগ জানিয়েছেন ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল।

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ৩ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের একটি নির্দেশনামার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। সেই সময়েও বিচারকের কাছে এমন কোনও অভিযোগ করেননি কুন্তল। অথচ, চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ইডির তদন্তকারী অফিসাররা তাঁর তলপেটে চিমটি কেটেছিলেন এবং সেই যন্ত্রণায় এখনও ভুগছেন তিনি। প্রসঙ্গত, কুন্তলের ইডি হেফাজত শেষ হয়েছিল ৩ ফেব্রুয়ারি।

Next Article