Manik Bhattacharya: ৩০ হাজারের চাকরি কীভাবে হয়েছিল? আদালত চত্বরে বোঝানোর চেষ্টা মানিকের

Manik Bhattacharya: মানিক বলেন, '৩০ হাজার যাঁরা নিয়োগ পেয়েছিল, তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাইমারি টিচার রিক্রুটনমেন্ট রুলের ২ সি অনুযায়ী অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের মানে হল ন্যাচারাল এবিলিটি। অর্থাৎ, প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতা।'

Manik Bhattacharya: ৩০ হাজারের চাকরি কীভাবে হয়েছিল? আদালত চত্বরে বোঝানোর চেষ্টা মানিকের
মানিক ভট্টাচার্যImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

May 18, 2023 | 9:28 PM

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশে সম্প্রতি প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই বিষয়ে এদিন কোনও মন্তব্য না করলেও কীভাবে প্রাথমিকের ৩০ হাজার শিক্ষকের চাকরি হয়েছিল, সেই বিষয়ে এবার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এদিন আদালত চত্বর থেকে যখন মানিককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। প্রশ্ন করা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান কি না। তাঁর কাছে টাকা গিয়েছিল কি না সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। তবে সেসব বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন না মানিক ভট্টাচার্য। উল্টে তিনি বলেন, ‘৩০ হাজার যাঁরা নিয়োগ পেয়েছিল, তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাইমারি টিচার রিক্রুটনমেন্ট রুলের ২ সি অনুযায়ী অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের মানে হল ন্যাচারাল এবিলিটি। অর্থাৎ, প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতা।’

যদিও এই বিষয়ে এর থেকে বেশি কিছু বলার সুযোগ পাননি মানিক ভট্টাচার্য। উপস্থিত পুলিশকর্মীরা তাঁর বক্তব্য শেষের আগেই তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে যান। ফলে, কোন সালের কোন নিয়োগের কথা তিনি বলতে চাইছেন,  কোন ন্যাচারাল এবিলিটির কথা তিনি বোঝাতে চাইছেন, তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার প্রেক্ষিতে মানিক ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। অনেকের ক্ষেত্রেই অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের সময় নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে ৩২ হাজারের নিয়োগ বাতিল হয়েছে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলাও করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির এমন দাবি নতুন করে গুঞ্জন বাড়িয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।