কলকাতা: যে ‘কালীঘাটের কাকু’ সংবাদমাধ্যমের সামনে এতদিন সদা হাস্যমান ছিলেন, তিনিই এখন গ্রেফতারির পর বার বার মেজাজ হারাচ্ছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে শনিবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর ছ’টি সংস্থায় ২০-২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র মারফত উঠে আসছে। সেই বিষয়ে এদিন প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন সুজয় ভদ্র। সাংবাদিকের প্রশ্নে কিছুটা বিরক্তির সুরেই কালীঘাটের কাকু বললেন, ‘তাতে আপনার কী?’ বোঝাই যাচ্ছে, গ্রেফতারির পর থেকে মেজাজ ভাল নেই সুজয়বাবুর। এদিকে আবার তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকেও গতকাল ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আজ আবার ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিভিন্ন সংস্থায় কি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কোনও টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে? প্রশ্ন করায় জানিয়ে দিলেন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকার সঙ্গে কোনও যোগ নেই। বললেন, ‘২০০৮ সাল থেকে কাজ করছি। সব তথ্য দিয়েছি। ২০-২২ কোটি টাকা আছে তাতে ইডির কী? ২০০ কোটি থাকতে পারে। লোকের কি টাকা থাকতে পারে না? দুর্নীতির সঙ্গে আমি কোনওভাবে যুক্ত নই।’ এদিকে সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তিনি ‘কাকু’ নাম উল্লেখ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুজয়কৃষ্ণ বললেন, ‘আমার নাম নিতে দিন। যাঁর যা খুশি করতে দিন।’ তাহলে কি তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে? প্রশ্ন করায় ‘কাকু’ বলছেন, ‘সেটা পরে দেখা যাবে।’
উল্লেখ্য, সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। শুক্রবার রাহুল বেরাকে কাকুর সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, আগাগোড়া সবটাই অস্বীকারের চেষ্টা করেছেন কালীঘাটের কাকু। এরপর আজ আবার রাহুল বেরাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।