High Court in Recruitment Scam: ‘শেষবারের মতো জিজ্ঞাসা করছি’, এবার কড়া ভাষায় মুখ্যসচিবকে ‘ওয়ার্নিং’ দিলেন বিচারপতি বাগচি

High Court in Recruitment Scam: বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এদিন বলেন, "মুখ্যসচিব এই অপরাধের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্রুত ট্রায়ালের জন্য এই অনুমতি জরুরি। নিজের দায়িত্ব পালন করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এবার কি ধরে নেব, যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা এতটাই প্রভাবশালী যে মুখ্যসচিবও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না?"

High Court in Recruitment Scam: 'শেষবারের মতো জিজ্ঞাসা করছি', এবার কড়া ভাষায় মুখ্যসচিবকে 'ওয়ার্নিং' দিলেন বিচারপতি বাগচি
হাইকোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2024 | 5:45 PM

কলকাতা: মামলা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। মুখ্যসচিবের অনুমতি না পেলে এগোচ্ছে না তদন্ত। তাই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় মুখ্যসচিবকে হলফনামা দিতে বলেছিল আদালত। শেষ পর্যন্ত হলফনামা পেলেও, তাতে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। এবার কড়া ভাষায় মুখ্যসচিবকে কার্যত সতর্ক করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। বললেন, শেষবারের মতো জিজ্ঞেস করছি। এরপর আদালত অবমাননার রুল জারি করতে বাধ্য হব। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে মামলার শুনানি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে নেতা-মন্ত্রী ছাড়াও একাধিক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া তাঁদের ক্ষেত্রে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে দেরী হওয়ায় প্রথমে মুখ্যসচিবকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তাতেও তিনি উপস্থিত না হওয়ায়, পরে তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। পরে রাজ্যের আবেদনে বিচারপতি সেই নির্দেশ ফিরিয়ে নেন। এবার মুখ্যসচিবের হলফনামায় অসন্তোষ প্রকাশ করল আদালত।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এদিন বলেন, “মুখ্যসচিব এই অপরাধের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্রুত ট্রায়ালের জন্য এই অনুমতি জরুরি। নিজের দায়িত্ব পালন করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এবার কি ধরে নেব, যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা এতটাই প্রভাবশালী যে মুখ্যসচিবও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না?” আগামী ২ মে-র মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন প্রশ্ন তুলেছে, নির্বাচন কমিশনের কি কোনও কিছু করার আছে এখানে? মডেল কোড অব কন্ডাক্ট এই ক্ষেত্রে কীভাবে লাগু হচ্ছে?

এ কথা শুনে এজি কিশোর দত্ত বলেন, “আরও কিছুটা সময় নেব। রিসার্চ করে দেখব। শেষবারের মতো সময় দেওয়া হোক।” এরপর বিচারপতি বলেন, “শেষ বারের মতো জিজ্ঞেস করলাম, এরপর অবমাননার রুল জারি করতে বাধ্য হব।”