Nursing Recruitment: বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও মিলেছে চাকরি! রাজ্যে আবারও নিয়োগে গরমিলের অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 23, 2022 | 1:10 PM

Nursing Recruitment: নিয়োগের ক্ষেত্রে গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ নার্সিং-এর চাকরিপ্রার্থীদের। প্যানেলেও সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ।

Nursing Recruitment: বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও মিলেছে চাকরি! রাজ্যে আবারও নিয়োগে গরমিলের অভিযোগ
নার্সিং পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

Follow Us

কলকাতা : শিক্ষার পর এবার স্বাস্থ্য। একদিকে যখন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। তখন এবার রাস্তায় নামলেন নার্সিং বিভাগের চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ বেনিয়মের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। সোমবার হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দফতরের সামনে ভিড় করেন বহু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের দাবি, পুরনো ব্যাচকে বাদ রেখেই নতুন ব্যাচ থেকে নিয়োগ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিয়োগের নির্দিষ্ট বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকেরা। নিয়োগ বোর্ডের সেক্রেটারি নগেন্দ্রনাথ দত্তও এ দিন চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

জিএন‌এম নার্সিং গ্রেড টু, বিএসসি নার্সিং গ্রেড টু’র নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই সোমবার সকাল থেকে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের গেট কার্যত অবরুদ্ধ করে দেন জিএন‌এম নার্সিং, বিএসসি নার্সিংয়ের চাকরিপ্রার্থীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতে মাইক হাতে রাস্তায় নামেন নিয়োগ বোর্ডের কর্মীরা।

কী কী অভিযোগ?

১. চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগের জন্য যে প্যানেল তৈরি হয়েছে তাতে এমন অনেকের নাম রয়েছে যাঁদের রেজিস্ট্রেশন নেই।

২. অসংরক্ষিত তালিকায় সংরক্ষিত তালিকার প্রার্থীরা সুযোগ পেয়েছেন বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের।

৩. এই চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ৩৮ বছর। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, চল্লিশোর্ধ্ব অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।

৪. প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখেও গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া প্রার্থীদের তুলনায় প্রাপ্ত নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাননি, এমন অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে।

৫. ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের এখনও নিয়োগ হয়নি, অথচ ২০২১ সালের ব্যাচের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

৬. পুরুষ নার্সদেরও দাবি, ২০১৭ সালে পাশ করার পরও এখনও হয়নি নিয়োগ।

এই সব দাবি নিয়েই এ দিন সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন নিয়োগ বোর্ডের সেক্রেটারি নগেন্দ্রনাথ দত্ত। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবন যা ঠিক করবে, সেটাই হবে। নিয়োগ বোর্ডের হাতে কিছু নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

এই বিক্ষোভে রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠল আরও একবার। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও অথবা পরীক্ষা না দেওয়া সত্ত্বেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

 

Next Article