Manik Bhattacharya: ‘চিঠিতে আরও অনেকের নাম ছিল…’, এবার ED-কেই পাল্টা চাপ! কাদের কথা বলছেন মানিক
Manik Bhattacharya: মানিকের পাল্টা প্রশ্ন, চিঠিতে নাম থাকা খলিলউদ্দিন এবং জেলা তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতিকে কেন জেরা করেনি ইডি? সেই প্রশ্নই তুলছেন মানিক। মানিকের যুক্তি হল, চিঠিটি তাঁকে দেওয়া হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের কথা উল্লেখ করা নেই।
কলকাতা: অনেকদিন ধরেই জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। নানা যুক্তি আদালতে দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বারবার জামিন খারিজ হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের। আর এবার উল্টো চাল! তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠিকেই এবার ইডি-র বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক। সূত্রের খবর, চিঠির বয়ানের কথা উল্লেখ করা হবে আদালতে। আজ শুক্রবার তাঁকে বিশেষ ইডি আদালতে পেশ করা হবে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশিতে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই চিঠি। মুখ্যমন্ত্রী, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও মানিকের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল চিঠিটি। ইডি মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটেও চিঠির কথা উল্লেখ করেছিল। ওই চিঠিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৪৪ জন চাকরি প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই চিঠিকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে অন্যতম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল ইডি।
সূত্রের খবর, এবার সেই চিঠি নিয়েই পাল্টা দাবি জানাতে চলেছেন মানিক। তাঁর দাবি, ওই চিঠিতে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা ২০১৩ সালের। আর তিনি গ্রেফতার হয়েছেন ২০২৩ সালে। ওই চিঠিতে মহম্মদ খলিলউদ্দিন নামে যে ব্যক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে, তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি। চিঠির বয়ান অনুযায়ী, চাকরির জন্য নেওয়া টাকা জমা পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের তহবিলে।
মানিকের পাল্টা প্রশ্ন, চিঠিতে নাম থাকা খলিলউদ্দিন এবং জেলা তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতিকে কেন জেরা করেনি ইডি? সেই প্রশ্নই তুলছেন মানিক। মানিকের যুক্তি হল, চিঠিটি তাঁকে দেওয়া হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের কথা উল্লেখ করা নেই। তাঁকে অবগত করা হয়েছে মাত্র। তাহলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে এই চিঠি হাতিয়ার হবে? মানিকের এই যুক্তি ধোপে টিকবে কি না, সেটাই এখন দেখার।