কলকাতা: আজ, বুধবার ইডি দফতরে যাচ্ছেন না তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। ১১ জুলাইয়ের পর যে কোনও দিন ডাকলে তিনি যাবেন বলে মেইল মারফত জানিয়েছেন। ৫ জুলাই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সায়নীর। তিনি এদিন হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। সায়নীর গলফ গ্রিনের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা যায়, তিনি নেই। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানান, সায়নী এদিন ভোরেই বেরিয়ে গিয়েছেন গাড়ি নিয়ে। বাড়িতে তাঁর বাবা-মা রয়েছেন। সায়নীর মা অসুস্থ। তারপর থেকেই একটা জলঘোলা তৈরি হয়েছিল, সায়নী কি আদৌ ইডি দফতরে যাবেন নাকি আইনজীবী মারফত তিনি নথি পাঠাবেন। বেলা দশটা নাগাদ জানা যায়, তিনি এদিন যাচ্ছেন না। সে কথা মেইল করে ইডি-কে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও এই বিষয়টি জানান।
গত মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে প্রচারে ছিলেন সায়নী ঘোষ। তখনই তিনি জানতে পারেন, ইডি ডাক পাঠিয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি তলব করে তাঁকে। তারপর দু’দিন রীতিমতো ‘উবে’ গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না দলের নেতারাও। এমনকি দলীয় কর্মসূচিতেও যাননি তিনি। দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপেও তাঁকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি।
আদৌ সায়নী ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যেদিন তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল, তার কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। শেষমেশ ৩০ জুনই নির্দিষ্ট সময়ের ২০ মিনিট আগে ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন সায়নী। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। ইডি তাঁকে বেশ কিছু নথি আনতে বলেছিল। তিনি তা নিয়ে গিয়েছিলেন। মূলত তাঁর ফ্ল্যাট কেনার টাকা, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর কীভাবে পরিচয়, এ সব বিষয়ে জানতে চেয়েছিল ইডি।
সূত্রের খবর, বেশ কিছু প্রশ্নের নিরুত্তরই থেকেছিলেন সায়নী। যদিও দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী দাবি করেছিলেন, তিনি ইডি তদন্তে সাহায্য করেছেন। আবারও ডাকলে যাবেন। ইডি মূলত জানতে চায়, সায়নী ঘোষ তৃণমূল যুবর সভাপতি হওয়ার পরই কুন্তল ঘোষ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ইডি আসলে এর যোগসূত্র খুঁজে পেতে চাইছে। যদিও সায়নী দাবি করেছেন, রাজনীতিতে এসেই কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সায়নী বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাই তাঁকে ফের চার দিনের ব্যবধানেই ফের তলব করা হয়।
সায়নী মেইল করে জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে ভোটের প্রচারের কাজে ব্যস্ত। ১১ তারিখ নির্বাচন মিটলে যে কোনও দিন তিনি ইডি দফতরে যাবেন।