কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া তথ্য। এবার সিবিআই নজরে শাসকদল ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কলেজ শিক্ষক। পার্থ ঘনিষ্ঠ এইসব কলেজ শিক্ষকরাই পৌঁছে দিতেন চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। টাকার বিনিময়ে তালিকা তৈরি করতেন জেলার নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা। সেই তালিকা পার্থর কাছে পৌঁছে দিতেন কলেজ শিক্ষকরা। তার বিনিময়ে সুবিধাও পেতেন। কেউ নিজের কাছের লোকেদের চাকরির সুপারিশ করতেন। কেউ আবার আর্থিভাবে লাভবান হতেন। প্রতি জেলায় পার্থ ঘনিষ্ঠ এরকম অন্তত দুজন করে শিক্ষকের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। তাদের দফায় দফায় নিজাম প্যালেসে তলব করে বয়ান রেকর্ড কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর হাতে নতুন তথ্য উঠে আসছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন শাসকদল ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সিবিআই জানতে পেরেছে, তাঁরা নামের তালিকা পৌঁছে দিতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। মূলত দূরবর্তী এলাকার চাকরিপ্রার্থীরা, যাঁরা চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা পৌঁছে দেওয়া হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। গোটা বিষয়টি সিবিআই তদন্তে জানতে পেরেছে। নবম দমশে পরীক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পৌঁছে দিতেন এই অধ্যাপকরা।
এরকম একাধিক অধ্যাপকের নাম উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। গত সপ্তাহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এ সপ্তাহে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ। পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সেই অধ্যাপকদের নামের তালিকা তৈরি করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার ধাপে ধাপে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূলত কোন কোন নেতার মাধ্যমে তাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পেতেন, কতবার তাঁরা মন্ত্রীর কাছে তালিকা পৌঁছে দিয়েছেন, এ বিষয়গুলো জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এতদিন ধরে ভাবা হচ্ছিল, কেবল মধ্যস্থতাকারীরাই নামের তালিকা পৌঁছে দিত। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও। জানা যাচ্ছে, এর বিনিময়ে তাঁরা কখনও কখনও টাকা নিতেন, আবার কখনও নিজের ঘনিষ্ঠকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।