কলকাতা: গত তিন বছরে এই মামলার বাংলার রাজনীতিতে বড় আলোড়ন ফেলেছেন। সেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আজ বড় দিন। আজ SSC মামলার রায় ঘোষণা। একসঙ্গে ৩৫০টি মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও মহম্মদ সাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে মামলার শুনানি চলেছে। গত ২০ মার্চ ওই বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়।রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত।
২০২১ সালের জুন মাসে শুনানি শুরু তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ২২ নভেম্বর সন্দীপ প্রসাদের মামলায় গ্রুপ-ডি নিয়োগ মামলায় প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সমন্তের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই-নির্দেশ স্থগিত করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রণজিৎ বাগের অনুসন্ধান কমিটি গড়ে।
২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাবিনা ইয়াসমিনের মামলায় গ্রুপ-সি নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশও স্থগিত করে বাগ কমিটিকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। ৭ এপ্রিল নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের তদন্তও সিবিআই-কে। ওই বছরই ১৭ মে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনি নিয়োগ চিহ্নিত করে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ। একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগের তদন্তও সিবিআই-কে দেওয়া হয়।
১৮ মে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ বাগ কমিটির রিপোর্ট গ্রহণ করে সব নিয়োগ দুর্নীতির মামলা সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২২ জুলাই নিয়োগ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২৮ সেপ্টেম্বর সিবিআই আদালতে প্রথম রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাল বিভিন্ন ভাবে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। ওই ডিসেম্বর থেকে পরের বছর মার্চ মাসে কর্মী ও শিক্ষক মিলিয়ে বেআইনি নিয়োগ চিহ্নিত করে ধাপে ধাপে প্রায় পাঁচ হাজার নিয়োগ বাতিল করা হয়।
গত বছর ৯ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টকে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এসএসসি-র সব নিয়োগ মামলা একত্রিত করে শুনানির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। ছ’মাসের মধ্যে ফয়সালার সময় বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত।