Bangla NewsKolkata Recruitment scam: Tapas Mondal, Kuntal Ghosh, SP Sinha appear in court in recruitment corruption case
Recruitment Scam: ‘আমাদের আটকে রেখে CBI নিজের ইমেজ মেকওভার করছে’
Recruitment Scam: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেই সওয়াল করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। খাঁড়া করেন একের পর এক যুক্তি। এক নজরে দেখুন কী বললেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা?
নিয়োগ দুর্নীতি
Follow Us
কলকাতা: বৃহস্পতিবার নিয়োগ মামলায় আদালতে তোলা হয় তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ -সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেই সওয়াল করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। খাঁড়া করেন একের পর এক যুক্তি। এক নজরে দেখুন কী বললেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা?
KEY HIGHLIGHTS
সওয়াল জবাবের সময়ে নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবী সওয়াল করেন, “সিবিআই বলছে আমি কুন্তল ও তাপসের এজেন্ট। আমায় বিরুদ্ধে যে অভিযোগ খাটে না। না আমি কোনও সরকারি অফিসারের থেকে টাকা নিয়েছি। না কোনও অযোগ্যর থেকে টাকা নিয়েছি। সাক্ষীদের নাম কেস ডায়েরিতে আছে। আমি তাদের জানিও না। কী করে প্রভাব খাটাবো?”
তাপসের আইনজীবী সওয়াল করেন, “এফআইআর-এ আমার নাম ছিল না। আমি নোটিশের ভিত্তিতে হাজিরা দিতে গেলে গ্রেফতার করা হয়। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভুল। MCQ আমি সেট করতাম না। কুন্তলও সরকারি কর্মচারী নয়। সিবিআই বলছে, আমি কুন্তলকে টাকা দিয়েছি। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে দুর্নীতিদমন আইন আসবে না।”
এরপরই সওয়াল করেন কুন্তল ঘোষের আইনজীবী। তিনি বলেন, ” সিবিআই বলছে আমি প্রভাবশালী। টাকা তুলেছি প্রভাবশালীদের থেকে। কুন্তল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে তো চাকরি করতেন না। বোর্ডের লোকজন কোথায়?” কুন্তলের আরও যুক্তি, “প্রভাবশালী বলছে। দল তো প্রকাশ্যে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। তাহলে প্রভাব কীসের?
তথ্য প্রমাণ তো সিবিআই-এর কাছে। নথি সিবিআই-এর কাছে। তাহলে আমি যদি প্রমাণ নষ্ট করি, তাহলে তো সিবিআই-এরই নিজের উপর ভরসা নেই। তাহলে কি ইন্টারপোলকে ডাকতে হবে?” উল্লেখ্য, এদিন আদালতে পেশের আগে কুন্তল ঘোষ আবাক ঘনিষ্ঠ মহলে ইডি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলে খবর। তাঁর বক্তব্য, ”ইডি নাকি বলেছে, আমার ১০০কোটির সম্পত্তি। সেগুলো কই? আমার সম্মানহানি এসব।”
এর প্রেক্ষিতে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বলেন, “এটা একটা ষড়যন্ত্র। কার কী ভূমিকা, সেটা দেখা যাচ্ছে। মিডলম্যানদের ভূমিকা কেস ডায়েরিতে আছে। টাকা কোথায় কার থেকে আসছে কার কাছে যাচ্ছে সেটারই খোঁজ চলছে।”
বিচারক বলেন, “এই কেসে সরকারি কর্মী যারা যুক্ত তারা কোথায়?” বিচারক কেস ডায়েরির একটা অংশ দাগ দিয়ে তদন্তকারী অফিসারকে বলেন,
“আপনি এই বিষয়টি দেখুন।”
এদিকে, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী বলেন, ”
আমি ২২৫ দিন ধরে হেফাজতে। চার্জশিট মানে তো তদন্ত শেষ। কিন্তু ওঁরা একটা করে চার্জশিট দিচ্ছে আর বলছে তদন্ত চলছে। এটা কি আইন? পিক আর চুস পদ্ধতিতে তদন্ত করছে।” তাঁর বক্তব্য, ” কয়েকজনের নাম আসছে অল্প কয়েকজনকে গ্রেফতার করছে আবার তদন্ত করছে। ওরা জামিন আটকাতেই চার্জশিট দিচ্ছে।” অভিযুক্তের আইনজীবীর বক্তব্য, “সিবিআই বলছে, সমাজের কথা ভেবে তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের আটকে রেখে সমাজে সিবিআই নিজের ইমেজ মেকওভার করছে।”
পার্থর আইনজীবী বলেন, “বাগ কমিটির রিপোর্টে অফিসকর্মীদের কথা বলা হয়েছিল। একজন যার নাম চার্জশিটে রয়েছে, চারটি কেসে নাম রয়েছে। সে এখনও হাওড়ার একটি কলেজের প্রধান পদে আছে। তাকে কেন কাস্টোডিতে নেওয়া হচ্ছে না?” পার্থর সওয়াল, “আমি মন্ত্রী হিসেবে কাউকে সুপারিশ করি না। আমার কাছে সুপারিশ আছে। অনেক গ্রাউন্ড লেভেল থেকে আসে।”