কলকাতা: জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের কাছে জমা পড়ল রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে প্রাক্তন সরকারি আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্কুল শিক্ষা কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির রিপোর্টেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে বেনিয়মের কথা। স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশন ও সিআইডিকেও এই বেনিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন শিক্ষা দফতর।
জিটিএ-তে বেশ কয়েকটি স্কুলে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বেনিয়মে স্থায়ী করা হয়েছিল। পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক। কিন্তু তার ভিত্তিতে এফআইআর করেনি পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্ট বুধবারই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। বুধবার আবার কলকাতা হাইকোর্টের ধমকের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। আর তার ঠিক পরেই বৃহস্পতিবার রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতর যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ডিআই প্রাণগোবিন্দ সরকার ও বিনয় তামাঙ, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ একাধিকজনের নাম ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বেনিয়ম যে হয়েছে, তা যখন শিক্ষা দফতর আগে থেকেই জানত, তাহলে আগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? হাইকোর্টের ধমকের মুখে পড়েই কেন এফআইআর?