আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। বেলা গড়াতে না গড়াতেই কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলাতেও রেমালের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। চোখ রাঙাচ্ছে ঘুর্ণিঝড়। মাঝে মধ্যেই একপশলা বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে আকাশ ঢাকছে কালো মেঘে। এই সময় আপনিও এই ভুল করে বসছেন না তো! অনেকেই এখনও রাস্তায়। ধারণা রেমাল কলকাতা থেকে অনেকটাই দূরে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বারবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতার বুকেও। পাশাপাশি নিশানায় হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায়। লাল সতর্কতা জারি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরেও। ৯০ কিলোমিটার বেগে কলকাতায় বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনায় প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে ল্যাণ্ড ফল, তাই অনেকেই নানাবিধ কাজে এখনও বাইরে। ভাবছেন রাতের আগে ঠিক বাড়ি ফিরে যাবেন। তবে এমনটা ভাবলেই বিপদ। কারণ সময় যত এগোবে ততই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এমনিতেই রবিবার, রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যা কম, বহু লোকাল ট্রেন ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি অ্যাপক্যাবের দামে আগুন। প্রতিদিন যে ভাড়ায় যাতায়াত করেন, তার থেকে অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া এদিন দুপুর থেকেই দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে কেউ যদি সন্ধের পরও রাস্তায় থেকে থাকেন, বা তেমন পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে নিঃসন্দেহে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই ‘রাতে ঝড় হবে’, এই ভেবে একেবারেই বাইরে থাকা নয়।
সকলের উদ্দেশে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে এদিন প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় না বেরতে, তবে সন্ধের পর নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। তাই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করুন যতদ্রুত সম্ভব। একটা সময়ের পর অ্যাপ ক্যাবের চাহিদাও বাড়বে, সকলেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন, তাই বর্ধিত টাকা দিয়েও যে গাড়ি পেতে পারেন, এমনটা নাও হতে পারে, তাই যতদ্রুত সম্ভব বাড়ি ফেরার চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে বিভিন্ন দফতর থেকে।