কলকাতা: সকালেই দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। ভর্তির সময় তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানানো হয়েছিল চিকিৎসকদের তরফে। কিন্তু, মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকটি টেস্টের রিপোর্ট দেখার পর উদ্বেগ বেড়েছে চিকিৎসহ মহলে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধবাবুর দেহে সাইটোকাইন ঝড়ের ইঙ্গিত মিলেছে এই রিপোর্টে। এখনও তাঁর আচ্ছন্নভাব বজায় আছে বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও অনেক সময়ে ভাইরাস দেহের নানা অংশে প্রভাব বিস্তার করে। এই প্রভাব বিস্তারের জেরে করোনা সেরে গেলেও সাইটোকাইন ঝড় দেখা যায়।
উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে উদ্বেগজনক। সন্ধ্যায় আচ্ছন্ন ভাব কাটলেও রাতে আবার আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দেহে সাইটোকাইন ঝড়ের ইঙ্গিতবাহী পরীক্ষার রিপোর্টে উদ্বিগ্ন রয়েছেন চিকিৎসকেরাও। কারণ সাইটোকাইন ঝড়ের মাপকাঠি আইএল-৬ বা ‘ইন্টারলিউকোটিন ৬’ ৪১ থেকে বেড়ে ৮৩ হয়েছে বুদ্ধবাবুর। সিআরপি ১৫০-র কাছাকাছি। দুপুরে মাছ-ভাত খেয়েছিলেন তিনি। রাতে তাঁকে গলা ভাত দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
আরও পড়ুন: বুদ্ধবাবুর পরই ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য
যদিও তিনি এখনও বাইপ্যাপে রয়েছেন এবং তাঁর দেহে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। লাগাতার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপও করা হচ্ছে বুদ্ধবাবুর শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। অন্যদিকে বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরাদেবীকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও এ দিন সন্ধ্যায় ফের একবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। মীরা ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার অবনতির মূল কারণ উৎকণ্ঠা বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনা মুক্ত হলেও শারীরিক ভাবে তিনি এখনও বেশ দুর্বল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।