কলকাতা: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি থেকেই। সোজ কথায় ফাইনালের আগে সকলের নজর ছিল সেমিফাইনালের ফলের দিকে। রবির সকাল থেকেই কংগ্রেস শুরুটা ভাল করলেও বেলা বাড়তেই ঘুরতে থাকে খেলা। তেলঙ্গনা বাদে মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগঢ়ে ফুটতে চলেছে পদ্ম। বড় ব্যবধানে সেখানে বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েছে হাত শিবির। তাতেই যেন বড়দিনের আগেই দেশজোড়া সেলিব্রেশন মুডে পদ্ম কর্মীরা। বাংলাতেও শুরু উদযাপন। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের গলাতেও শোনা গেল উচ্ছ্বাসের সুর। সাফ বললেন, “ফলাফল বলে দিচ্ছে ফাইনাল কেমন হবে।”
অন্যদিকে মিজোরামে এদিন ভোট গণনা না হলেও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বলছে সেখানে ক্ষমতা থাকতে পারে আঞ্চলিক দলগুলির হাতে। পাঁচ রাজ্যে ভোট নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বসেন শমীক। সেখানেই মোদীর-শাহের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী INDIA জোটেরও তুলোধনা করলেন। স্পষ্ট বললেন, “কিছু জনভিত্তি হারিয়ে ফেলা জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল যে ঘৃণা, বিভাজন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে আবহ তৈরি করতে চেয়েছিল তার বিপক্ষে রায় দিয়েছে মানুষ। এই রায় ভারতের পক্ষে, নরেন্দ্র মোদীর সাফল্যের পক্ষে, ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতার পক্ষে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের পক্ষে।”
দলের দেশজোড়া সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও বাংলার সরকারের তুলোধনা করতে ভুললেন না শমীক। প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কড়া সমালোচনা করে শমীক বলেন, “আমাদের রাজ্যে সেখানে আমরা আছি, সেখানে গণতন্ত্র কার্যত বাজেয়াপ্ত, সেখানে মানুষের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়, সেখানে স্পিকার সরাসরি দল ভাঙানোর খেলায় অংশগ্রহণ, সেখানে সাংবিধানিক প্রধান বারবার কদর্য ভাষায় আক্রমণের স্বীকার হন, রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ পুলিশের উপস্থিতিতে লুঠ করা হয়।” শমীকের দাবি শীঘ্রই এসবের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে বাংলার মানুষ। বলেন, “আজ গোটা ভারতবর্ষের মানুষ যে রায় দিয়েছেন আমাদের বিশ্বাস এ রাজ্যেও আগামী নির্বাচনে তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাবে। এই নির্বাচনে অনেকে সেমিফাইনাল বলছিলেন। ফলাফল বলে দিচ্ছে ফাইনাল কেমন হবে। কালের দেওয়ালে লেখা হয়ে গিয়েছে ২০২৪ সালের ১৫ অগস্ট জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন মোদী।”