Rezzak Mollah : ‘এখনও সিপিএম খোঁজ নেয়, কিন্তু ওরা নেয় না’, তৃণমূল নিয়ে একরাশ অভিমান রেজ্জাকের

raktim ghosh | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 23, 2023 | 11:23 PM

Rezzak Mollah : এই বছরই হচ্ছেন অশিতিপর। যদিও শরীরটা এখন বিশেষ ভাল নেই তাঁর। আর সে কারণেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন অনেকটা দূরে।

Rezzak Mollah : এখনও সিপিএম খোঁজ নেয়, কিন্তু ওরা নেয় না, তৃণমূল নিয়ে একরাশ অভিমান রেজ্জাকের
রেজ্জাক মোল্লা

Follow Us

কলকাতা : “এখন আমি শুধু তৃণমূলের (Trinamool Congress) সমর্থক। সদস্য নই। সদস্য হতে গেলে যে অ্যাক্টিভিটি রাখতে হয়, সেটা আমার নেই। এখন তো বেশিরভাগ সময় বারান্দায় বসেই সময় কাটে। বইটই একটু পড়ি।” কে বলতে পারে বলুন তো এ কথা? নিশ্চয় হচ্ছে কৌতূহল? অনেক দিন হয়ে গেল খবরের শিরোনামে আর নামটা বিশেষ চোখে পড়ে না। কেউ কেউ বলতেন তিনি বিতর্কিত নেতা, কেউ কেউ আবার বলতেন তিনি মুখ খুললেই বিস্ফোরণ। বাম আমলে দীর্ঘদিন দাপটের সঙ্গে সামলেছেন মন্ত্রীত্ব। যদিও পরবর্তীতে যোগদেন তৃণমূলে। সেই তৃণমূলের সঙ্গেই এখন কমেছে যোগাযোগ। কথা হচ্ছে রেজ্জাক মোল্লাকে (Rezzak Mollah) নিয়ে। টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে দলের প্রতি থরে থরে অভিমান ঝরে পড়তে দেখা গেল রেজ্জাকের গলায়। 

এই বছরই হচ্ছেন অশিতিপর। যদিও শরীরটা এখন বিশেষ ভাল নেই তাঁর। আর সে কারণেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন অনেকটা দূরে। নিজে মুখেই বললেন সে কথা। কিন্তু, খোঁজ কী রাখে কেউ? রেজ্জাকের অকপট উত্তর, “বয়স ৮০ বছর হয়ে যাচ্ছে। বয়সজনিত অনেক সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। আগের মতো আর হাঁটাচলা করতে পারি না। কারও সাহায্য লাগে হাঁটাচলা করতে। এখন যাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে তাঁরা বেশিরভাগই আমার পুরানো সাথী। যাঁরা বামফ্রন্টের আমলে ছিল।” এ কথা বলেই খানিক উদাস চোখে জানলা দিয়ে তাকিয়ে রইলেন বাইরে। খানিক থেমে বললেন, “এককালে তো কৃষক আন্দোলন করে রাজনীতিতে এসেছিলাম। যাঁদের সঙ্গে করেছিলাম তাঁরা এখন কেউ নেই। আমিই আছি। বাকিরা সব প্রায় গত হয়েছেন। এখন যে পার্টি আমি করি সেই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ২০১৬ সালে ভাঙড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলাম। কিন্তু, আমার বাড়ি ক্যানিং পূর্বের দিকে, আর ভাঙড় অনেক দূর। তাই দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা বলা এখন সম্ভব নয়। ওরাও খুব একটা আসে না। তবে বামফ্রন্ট আমলের কর্মীরা রোজই যোগাযোগ রাখে। দেখা করে যায়। নানা পরামর্শ চায়।”

২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে করেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে আর টিকিট পাননি একুশে। খানিক অভিমান কী রয়ে গিয়েছে দলের প্রতি? এ প্রশ্ন শুনে খানিক ভাবুক হয়ে পড়তে দেখা গেল বুদ্ধ ভট্টচার্যের পুরনো সতীর্থকে। খানিক ধীরে, খানিক মার্জিত কণ্ঠে বললেন, “ শারীরিক ক্ষমতা না থাকলে অ্য়াকটিভ পলেটিক্সে থাকা যায় না। মেন্টালি ঠিক আছি, কিন্তু শরীরটা ভাল নেই। ওই সময় আমার শরীরটা ভাল ছিল না বলে দাঁড়াতে চাইনি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেও সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম। কোনো অভিমান আমার নেই। এখন আমি শুধু তৃণমূলের সমর্থক। সদস্য নই। সদস্য হতে গেলে যে অ্যাক্টিভিটি রাখতে হয়, সেটা আমার নেই।”

Next Article