Mamata Banerjee on RG Kar: ‘বিজেপি ছিল, কারও হাতে ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা’, মমতার মুখে বহিরাগত তত্ত্ব

Deeksha Bhuiyan | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 15, 2024 | 7:28 PM

Mamata Banerjee: পুলিশকে গতকাল যেভাবে আক্রমণ করেছে। আমার ডিসি, ওসি ছিলেন। আনকনশাস অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত তিনটে। আমি বলি নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে। অনেক সময় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না হলে কোমায় চলে যায়। তবে পুলিশকে সাধুবাদ দেব, ওরা ধৈর্য হারায়নি। শান্তির জন্য কাউকে আঘাত করেনি এটা ভাল। আন্দোলনের পরিসীমা আন্দোলনকারীদের মাথায় রাখতে হয়। আন্দোলন করে বড় হয়েছি।

Mamata Banerjee on RG Kar: বিজেপি ছিল, কারও হাতে ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা, মমতার মুখে বহিরাগত তত্ত্ব
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
Image Credit source: PTI

Follow Us

কলকাতা: ১৫ অগস্ট প্রতি বছরই রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এটাই দস্তুর। এবারও তার অন্যথা হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে রাজভবন যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে আরজি কর নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় মমতা নিশানায় ‘রাম-বাম’। স্পষ্ট বলেন, “আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, আমি ছাত্রছাত্রীদের কোনও দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু রাজনৈতিক লোক যারা বাংলায় অশান্তি করতে চান, বাম এবং রাম একত্রিত হয়ে এই গন্ডগোলটা করেছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

এদিন বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আরজি করের সেমিনার হলে পিজিটি ছাত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। তিনিও অপরাধীর কঠোর শাস্তি চান। তবে একইসঙ্গে মমতা বলেন, “গতকাল আরজি করে যে ক্ষতি হয়েছে, যারা এই তাণ্ডব করেছে তারা কিন্তু আরজি করের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। আমার যত দূর মনে হয় আউটসাইডার। বিজেপি ছিল। কারও হাতে ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা। আমার কাছে তিনটে ভিডিয়ো আছে দেখেছি।”

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা, মায়ের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করেছিলেন, রবিবার পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে দিয়ে দেবেন। সোমবার তাঁদের বাড়িও যান। এরইমধ্যে আদালত সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দিয়ে দিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোর্ট সিবিআই যেমন বলেছে, একইসঙ্গে বলেছে, যারা পরিষেবা দিচ্ছে না তারা কাজে যোগ দিন। আমাদের তরফ থেকে বহুবার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অনুরোধ জানিয়েছেন। আমিও অনুরোধ করেছি যতটা সম্ভব। আজও অনেকে পরিষেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরছেন। তাঁদের ক্ষমতা নেই। বিনা পয়সায় হাসপাতালে চিকিৎসা পান। মারা গিয়েছেন কয়েকজন শুনলাম। বাচ্চা থেকে প্রসূতি মা বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন শুনলাম। চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তবে কিছু জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র কোথাও কোথাও এমার্জেন্সি করছেন। আমি তাঁদের অনেক ধন্যবাদ জানাই।”

 

Next Article