Sandip Ghosh: অবশেষে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য ভবনের, সরানো হল আরজি করের অধ্যক্ষকেও

Sourav Dutta | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 21, 2024 | 10:01 PM

Sandip Ghosh: বুধবার দুপুরে কয়েক দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে হাজির হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই দাবি এবার মেনে নেওয়া হল। গত কয়েকদিন ধরে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে দফায় দফায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে।

Sandip Ghosh: অবশেষে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য ভবনের, সরানো হল আরজি করের অধ্যক্ষকেও
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

Follow Us

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে এবার নতুন মোড়। নতুন পদ থেকেও সরানো হল সন্দীপ ঘোষে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, কেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হল তাঁকে? এবার সেই পদ থেকেও সরানো হল সন্দীপকে। একই সঙ্গে অপসারিত আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল। একাধিক পদ

আজ, আজ, বুধবার দুপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য ভবন চত্বর। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের ১ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল, সন্দীপ ঘোষ সহ ঘটনার দিন আরজি করে শীর্ষপদে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অন্য কোনও প্রশাসনিক পদে নিয়োগ করা যাবে না। ১ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না জানানো হলেও, সন্ধ্যায় সন্দীপ ঘোষকে সরানোর কথা জানালেন খোদ স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।

এদিন সন্ধ্যায় আরজি করে গিয়ে স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, সন্দীপ ঘোষের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বহালের নির্দেশ বাতিল করা হল। সরিয়ে দেওয়া হল আরজি করের প্রিন্সিপাল সুহৃতা পালকেও। এছাড়াও সরানো হয়েছে এমএসভিবি বুলবুল মুখোপাধ্যায় ও চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকেও। স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করতে আন্দোলনকারীদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর নিজেই পদত্যাগ করেন সন্দীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়ে দেন সরকারি চাকরি আর করবেন না তিনি। এর ঠিক ঘণ্টা ছয়েক পরই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসানো হয় সেই সন্দীপ ঘোষকে। তাঁকে যে সরানো হবে না, এ কথা নিজে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষ এত পাওয়ারফুল লোক!’ প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও।

Next Article