কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়র। মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্থা ও খুনের ঘটনায় আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে তিনি। আরজি করের এই ঘটনায় যখন প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে গোটা দেশজুড়ে। অভিযুক্তর ফাঁসির দাবি উঠছে বারেবারে। পথে নেমেছেন মহিলারা। এই পরিস্থিতে গ্রেফতার সেই সিভিক ভলান্টিয়রের হয়ে মামলা লড়ছেন এক মহিলা আইনজীবীই। নাম কবিতা সরকার। সূত্রের খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা লড়তেই চাননি কোনও আইনজীবী। পরে আদালত কর্তৃক কবিতাকে নিযুক্ত করা হয়েছে এই মামলা লড়ার জন্য। একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কবিতা জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়, যার জন্য তাঁর তদন্ত চলছে।
গত রবিবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের পলিগ্রাফ টেস্ট করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি বারেবারে নিজের বয়ান বদল করে তদন্তকারী আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। সেই কারণে তাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট প্রয়োজনীয় বলেই মনে করেছিল সিবিআই। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী ওই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেও চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করুন। এর মাধ্যমেই সত্য সামনে আসবে। তিনি যে নির্দোষ তা প্রমাণিত হবে। কবিতার কথায়, প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে ন্যায় বিচারের। তিনি জানিয়েছে, আদালতে দোষী সাব্যস্ত না পর্যন্ত তিনি নির্দোষ।
কে এই কবিতা সরকার?
শিয়ালদহ কোর্ট বছর বাহান্নর কবিতা সরকারকে আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্তের আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত করেছে। হুগলির মহসিন কলেজ থেকে তিনি আইনের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর আলিপুর কোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। প্রথমদিকে মূলত দেওয়ানি মামলা লড়তেন কবিতা। পরবর্তীতে তিনি ফৌজদারি মামলা লড়তে শুরু করেন। সেই সময় যোগদান করেন সাউথ এসিয়ান লিগ্যাল সার্ভিসেস অ্য়াসোসিয়েশন (SALSA)। এরপর ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে শিয়ালদহ কোর্টে তিনি লড়তে শুরু করেন। কবিতার বিশ্বাস, প্রতিটি ব্য়ক্তির নিরপেক্ষ ও ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।