AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ, পথ অবরোধে ৪১ নম্বর রুটের বাস মালিকরা

এমএন দত্ত রোডে নেতাজিনগর পেট্রোল পাম্পের সামনেই অবরোধে বসেন তাঁরা। টানা ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান।

পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ, পথ অবরোধে ৪১ নম্বর রুটের বাস মালিকরা
অবরোধ ঘিরে সরগরম নেতাজিনগর। বুধবার সকালে।
| Updated on: Jan 06, 2021 | 10:31 AM
Share

কলকাতা: পুলিসের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করলেন ৪১ নম্বর রুটের বাস মালিক ও চালকরা। নেতাজিনগর পেট্রোল পাম্পের কাছে বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে। ঘটনাস্থলে আসে রিজেন্ট পার্ক ও নেতাজি নগর থানার পুলিস। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। তবে কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতেই এই অবরোধে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদের।

অভিযোগ, নেতাজিনগর পেট্রোলপাম্পের কাছে রাস্তার দু’ধারে সারি দিয়ে দাঁড় করানো থাকে ৪১ নম্বর রুটের বাসগুলি। বাস মালিকদের দাবি, এর জন্য নির্দিষ্ট পার্কিং ফি-ও তাঁরা দেন। কিন্তু তবু পুলিসের সঙ্গে এই গাড়ি রাখা নিয়ে প্রায়ই খটমট লাগে। এরইমধ্যে বুধবার সকালে বাস বার করতে গিয়ে চালকরা দেখেন তাদের বাসের চাকায় কাটা লাগিয়ে দিয়েছে পুলিস। দু’ধারের বাসেই কাটা লাগানো হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার দু’ধার দু’টি আলাদা থানার আওতায়। একদিকের ভার নেতাজিনগর থানার, অন্যদিক সামলায় রিজেন্ট পার্ক থানা। একইভাবে একপাশের ট্রাফিক সামাল দেয় রিজেন্ট পার্ক গার্ড। অন্যদিকের দায়িত্ব গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের।

আরও পড়ুন: আপডেট: আজই বাড়ি ফিরছেন সৌরভ, উডল্যান্ডস চত্বরে ভক্তদের ভিড়

এদিন সকালে বাসের চাকায় কাটা লাগানো ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাস মালিক ও চালকরা। এমএন দত্ত রোডে নেতাজিনগর পেট্রোল পাম্পের সামনেই অবরোধে বসেন তাঁরা। টানা ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিস এসে বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়। অবরোধও ওঠে।

যদিও বাস মালিকদের পাল্টা বক্তব্য, যেখানে তাঁরা মাসিক পার্কিং ফি জমা করেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিসের সেখানেই কথা বলা উচিৎ। যদিও পরে নেতাজিনগর থানায় আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় উভয়পক্ষ। সেখানেই কথাবার্তা চলছে। ৪১ নম্বর বাস রুটের মালিক-চালক সংগঠনের তরফে বাপি দে বলেন, “বহুদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনা এবার বন্ধ হওয়া দরকার।” পুলিসের দাবি, সাধারণ মানুষের অভিযোগের কারণেই কড়া হতে হচ্ছে তাদের।