কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কয়েকদিন আগেই বলেছেন, তাঁর ভুল চিকিৎসা (Wrong Treatment) হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কোনও হাসপাতালের নাম না করলেও তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালকে ঘিরে। কারণ, বিদেশ সফর থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী সোজা গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এই নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়াও উঠে আসতে শুরু করেছে। চলছে রাজনীতির কচকচানিও। আর এসবের মধ্যেই আরটিআই আবেদন নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠাল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কী ধরনের চিকিৎসা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
কী কী প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে ওই আবেদন?
প্রথমত, গত সেপ্টেম্বর মাসে এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় কোন কোন চিকিৎসকরা যুক্ত ছিলেন? তাঁদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চাওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, মুখ্যমন্ত্রী সেদিন নবান্ন থেকে বলেছিলেন, তাঁর পায়ের ইনফেকশন ভুল চিকিৎসার জন্য সেপটিকের মতো হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কী চিকিৎসা হয়েছিল বা কী কী বায়োকেমিক্যাল ও মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
তৃতীয়ত, মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে কোনও মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল কি না, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ডে কারা ছিলেন, তাঁদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরও জানাতে বলা হয়েছে।
চতুর্থত, সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বা অন্য কেউ কোনও অভিযোগ জানিয়েছিলেন কি না। যদি অভিযোগ হয়ে থাকে, তার প্রেক্ষিতে কী তদন্ত হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভুল চিকিৎসার কথা বলার পর এসএসকেএম হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নতুন করে কোনও তদন্ত শুরু হয়েছে কি নাস সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটিতে কারা কারা রয়েছেন, সেই তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
উল্টোদিকে চিকিৎসক সংগঠনগুলির বক্তব্য, এ ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বা স্বাস্থ্য কমিশন রয়েছে। সেই সব প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে তাঁরই সরকার পরিচালিত উৎকর্ষ কেন্দ্রের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন তাতে সাধারণ মানুষের হাতে চিকিৎসকদের নিগ্রহ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কেন স্বাস্থ্য দফতর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করল না, সেই প্রশ্নও তুলেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলোর যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স