কলকাতা : বাংলার আইএস (IS) মডিউলকে প্রচারের আলোয় আনতে একাধিক ছক কষেছিলেন সাদ্দাম। গত সপ্তাহে হাওড়া থেকে আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মহম্মদ সাদ্দাম (Md Saddam) নামে যে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তিনি নাকি সম্প্রতি নয়ডায় একটি চাকরিও জুটিয়েছিলেন। না, মূল উদ্দেশ্য চাকরি ছিল না। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আসলে সাদ্দাম দিল্লি যেতে চেয়েছিলেন এক বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে। সূত্রের খবর, দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় দুই ব্যক্তির ওপর হামলার ছক কষেছিলেন সাদ্দাম। ওই দুই ব্যক্তির গতিবিধি রেইকি করতে তিনি নাকি চাকরি জুটিয়ে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়েও গিয়েছিলেন সাদ্দাম। ধরা না পড়লে চলতি মাসের শেষের দিকে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
অন্যদিকে, সাদ্দামের ব্যবহার করা বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেলের মেসেজ থেকে আরও এক আইএস হ্যান্ডলারের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তবে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেই ব্যক্তি দেশের বাইরে থেকে যোগাযোগ রাখতেন সাদ্দামদের সঙ্গে। সামনে আসছে সিঙ্গাপুরের এক মহিলার নামও। তাঁর সঙ্গেও বিভিন্ন সময়ে চ্যাট করতেন সাদ্দাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই ঘটনার তদন্তভার নিতে পারে বলে সূত্রের খবর।
শুধু সাদ্দাম নয়, সইদ আহমেদ নামে আরও এক যুবককেও গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। চলতি সপ্তাহে আব্দুল রকিব কুরেশি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই কুরেশি। গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই কুরেশির অঙ্গুলিহেলনেই পা ফেলতেন সাদ্দাম। বাংলায় আইএস মডিউল চালাতে নাকি সাদ্দামকে নানা ধরনের নির্দেশ দিতেন তিনি। এ রাজ্যে সংগঠনের বিস্তার ঘটাতে কাকে নিয়োগ করা হবে, প্রশিক্ষণ সহ সব বিষয়ই জানতেন সাদ্দাম।
সাদ্দাম জেরায় জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ৮ মাসের জন্য নয়ডায় গিয়েছিলেন তিনি। তিনজনের মগজধোলাইও করেন তিনি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এমন অনেক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, যা দেখে তাঁর আইএস যোগ সম্পর্কে আরও সন্দিহান হচ্ছেন গোয়েন্দারা।