নয়া দিল্লি ও কলকাতা: বর্ষীয়ান সাহিত্যিক শংকরের (Shankar) নতুন স্বীকৃতি। এ বার সাহিত্য অকাদেমি (Sahitya Akademi) পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন তিনি। শুক্রবার দিল্লিতে সাহিত্য অকাদেমির শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। শংকরের এই প্রাপ্তিতে আনন্দিত বাংলার সাহিত্য মহল।
দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত ‘একা একা একাশি’ বইটির জন্য এই স্বীকৃতি পেতে চলেছেন শংকর। পাঠক মহলে সাহিত্যিক শংকরের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। অনেকেই মনে করছেন এই স্বীকৃতি তাঁর আরও আগে পাওয়া উচিত ছিল। তবে কিছুটা দেরিতে হলেও শংকরের সাহিত্য অকাদেমি প্রাপ্তিতে খুশি অনেকেই।
সাহিত্যিক শংকরের জন্ম ১৯৩৩ সালে। প্রথম জীবন মসৃণ ছিল না। কম বয়সে বাবার মৃত্যুর পর কেরানির চাকরিতে যোগ। এমনকি হকারিও করতে হয়েছে। তবে লেখা থেকে সরে যাননি তিনি। বিচিত্র জীবন অভিজ্ঞতা লেখায় উঠে এসেছে বারবার। ‘চৌরঙ্গী’ উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর সাড়া পড়ে যায় পাঠকমহলে। সত্যজিৎ রায় ‘জন অরণ্য’ উপন্যাস নিয়ে ছবি করেন। তাঁর আসল নাম মণিশংকর মুখোপাধ্যায় হলেও শংকর নামেই খ্যাতি পান তিনি।
বিবেকানন্দের জীবন নিয়ে বই লিখেছেন শংকর। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই– স্বর্গ মর্ত পাতাল, চরণ ছুঁয়ে যাই, সুবর্ণ সুযোগ, তীরন্দাজ। ‘একা একা একাশি’ বইটি প্রকাশিত হয় শংকরের ৮১তম জন্মদিনে। এখন তাঁর বয়স ৮৭। এ বই শংকরের আত্মজীবনী।
সাহিত্য অকাদেমির বাংলার উপদেশক পর্ষদের আহ্বায়ক কবি সুবোধ সরকার Tv9 বাংলাকে বলেন, “আমি আনন্দিত। আমি খুশি। বাঙালির ঘরে ঘরে শংকর একটি নাম। শংকরকে আমি আমি পড়ে আসছি ছোটবেলা থেকে। ‘চৌরঙ্গী’ এবং ‘কত অজানারে’ প্রকাশ হওয়ার পরেই তাঁর সাহিত্য অকাদেমি পাওয়া উচিত ছিল। তার মানে ৬০ বছর আগে পাওয়া উচিত ছিল। ৬০ বছর লেগে গেল পুরস্কারটা দিতে! এ বার শুদ্ধিকরণ হল। খুবই অবিচার হয়েছিল বলে আমি মনে করি। পূর্ববর্তীদের অবিচার ছিল। বর্তমানে যাঁরা জুরি মেম্বার, তাঁরা সত্যিকারের শাপমোচন করলেন।”