কলকাতা: পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে শুক্রবারই কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে এদিনই আবার আরজি কর সংক্রান্ত সমস্ত আবেদন শুনছিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেও হাজির হন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য। আলাদা করে উল্লেখ করেন এই পুলিশি নিরাপত্তার বিষয়টি।
সন্দীপের আইনজীবী বলেন, সিবিআই নোটিস দিলেও মব ঘিরে রাখায় যেতে পারেননি তাঁর মক্কেল। তাই নিরাপত্তা চাইছেন। শুনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্যকে বলুন নিরাপত্তা দিতে। আপনি তো প্রভাবশালী। ৫০০ পুলিশ দিয়ে দেবে। না হলে আদালতের কাছে আসুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না হয় আপনার বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এর আগেও একাধিকবার আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন বিভিন্ন অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বদলির অর্ডার হয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন থেকে। অথচ কোনও এক অজানা কারণে সেই অর্ডার পত্রপাঠ বাতিল গিয়েছে রাতারাতি। তবে সম্প্রতি আরজি করে যে ঘটনা ঘটে, তার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ার ছাড়তে হয় সন্দীপ ঘোষকে।
তবে আরজি কর থেকে সরতে হলেও স্বাস্থ্যভবন তাঁকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করে। যা নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সেখানকার পড়ুয়াদের মধ্যে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা উঠতেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সন্দীপ ঘোষকে।
আদালত সময়সীমা বেধে দিয়ে বলেছিল তাঁকে লম্বা ছুটিতে যেতে। প্রধান বিচারপতি এও বলেছিলেন, ‘সন্দীপ ঘোষ ছুটির আবেদন করলে অবিলম্বে তা গ্রহণ করতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না।’
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ হিসাবে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হতে পারে যে কোনও সময়। এদিকে শুক্রবার দেখা যায় পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি। এলাকার লোকজনের দাবি, সন্দীপকে নিরাপত্তা দিতে এই পুলিশি মোতায়েন। পাল্টা পুলিশ বলছে, ধর্মঘটের জন্য পাহারা চলছে। এই আবহে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দীপ ঘোষ। চাইলেন নিরাপত্তা।