কলকাতা: জ্বলছে সন্দেশখালি। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বাড়ছে চাপানউতোর। শাসকদলের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালির আপামর জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে শিবু হাজরার পোলট্রি থেকে বাগানবাড়ি। গ্রামেরই কিছু লোকজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাতেই আরও বাড়ে বিক্ষোভের আঁচ। এদিকে এরইমধ্যে এদিন পাল্টা জেলিয়াখালির দখল নেওয়ার চেষ্টা করে শিবু হাজরার লোকজন। লাইভ ক্যামেরাতেই সেই ছবি দেখাতে গিয়েছিল টিভি-৯ বাংলা। কিন্তু, বাইক বাহিনীর রোষের মুখে পড়ে সাংবাদিকেরা। ভেঙে একেবারে জলে ফেলে দেওয়া হয় টিভি-৯ বাংলার ক্যামেরা। নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শিবু ঘনিষ্ঠ সামাদ মোল্লা, নিশিকান্ত বরদের। যদিও পুলিশ বলছে, সবই নাকি নিয়ন্ত্রণে আছে।
সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভর্মা। তিনি বলছেন, এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। এদিন দুপুরে কিছু ঘটনা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। গত তিনদিন ধরে যা ঘটছে কেন ঘটছে, কারা এর পিছনে আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও শাহাজানের খোঁজ করতেও তাঁর মুখে একই কথা, তদন্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এখানেই না থেমে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে তিনি বলেন। যাঁরা ভাবছেন এ ধরনের অশান্তি করে যাঁরা নারেগা নিয়ে মানুষের যে গণ আন্দোলন স্তব্ধ করে দেবেন, গতিপথ ঘুরিয়ে দেবেন, আমার মনে হয় তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ প্রশাসন সথর্থক ব্যবস্থা নেবে। কোনও ব্যক্তি, কোনও দলের কর্মী, গোলমাল পাকালে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।