কলকাতা: সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো এখন বঙ্গ রাজনীতি জোর চর্চিত। একটি স্টিং অপারেশন, যাতে সন্দেশখালির এক নিতান্ত স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য, সন্দেশখালির ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ সাজানো (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা)। আর ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই একেবারে এই ইস্যুকে জাতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিরুদ্ধের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করছেন মুখ্যমন্ত্রী আর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি বুঝে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি শিবির। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, সন্দেশখালির ভিডিয়ো শুধু ‘ফেক’ই নয়, ‘ডিপ ফেক’ ভিডিয়ো। আর সন্দেশখালির গঙ্গাধর কয়ালের ‘ডিপ ফেক’ ভিডিয়ো প্রসঙ্গে জুড়ল ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকারের নাম। আর সে নাম জুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে বিরাট কোহলির ভিডিয়োও রয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি ডিপ ফেক প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং ডিপফেকের যুগে প্রযুক্তিকে তো ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছেই। নাম না করে আই প্যাকের কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধেছেন তিনি।
Every invention has two aspects, it can be used in a positive sense but its misuse can’t be ruled out either.
In the age of Artificial Intelligence (AI), Deepfake and what not, crooks are misusing the technology for their vested interests.
Deepfake videos of renowned… pic.twitter.com/RaREW6jnbx
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) May 6, 2024
শনিবার বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় করে প্রকাশ্যে আসে সন্দেশখালির এক ভিডিয়ো। সেটি মূলত একটি স্টিং অপারেশন। তাতে গঙ্গাধর কয়াল নামে সন্দেশখালিরই স্থানীয় একং বিজেপি নেতাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। ক্যামেরার অপর প্রান্তের ব্যক্তির কেবল কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছিল। গঙ্গাধর কয়াল দাবি করেছেন, গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সন্দেশখালিতে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগগুলি ‘সাজানো’ ছিল। মহিলারা টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই ভোট বঙ্গের বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ-মন্ত্রী। যদিও সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো তদন্ত এখন কোন পথে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে গঙ্গাধরকে প্রকাশ্যে আর দেখা যায়নি। সিবিআই-এর কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। রবিবার রাত পর্যন্ত থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর।