Shahjahan Sheikh: সন্দেশখালির ‘শেষ কথা’ শাহজাহানই, ‘বেতাজ বাদশার’ নামেই রয়েছে আস্ত বাজার
Shahjahan Sheikh: ২০১১ সালে পরিবর্তনের বছরে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় এই বাজার তৈরি হয়। তিনশো থেকে চারশো ব্যবসায়ীর পেট চলে এই বাজার থেকে। মাছের দোকান থেকে ফলের দোকান, কাপড়ের দোকান সবই রয়েছে। বুধ ও শনিবার বসে হাট।
কলকাতা: তাঁর নির্দেশ ছাড়া এলাকায় নাকি একটাও মাছিও গলতে পারে না। পুলিশ প্রশাসন হোক বা বিধায়ক-নেতা, কারও ক্ষমতা নেই শাহজাহানের কথা না শোনার। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা সেই শাহজাহানের নামে আস্ত বাজারও রয়েছে। ৫ বিঘা জমির উপর রয়েছে শেখ শাহজাহানের নামে চলা সেই বিশাল বাজার। সেখানে মাঝের দোকান থেকে সবজি, জামাকাপড় সবই বিক্রি হয়। সূত্রের খবর, সেখান থেকেই কোটি কোটি টাকা আয় শাহজাহানের।
সূত্রের খবর, ২০১১ সালে পরিবর্তনের বছরে সন্দেশখালির সড়বেরিয়ায় এই বাজার তৈরি হয়। তিনশো থেকে চারশো ব্যবসায়ীর পেট চলে এই বাজার থেকে। মাছের দোকান থেকে ফলের দোকান, কাপড়ের দোকান সবই রয়েছে। বুধ ও শনিবার বসে হাট। শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর আক্রমণের পর থেকেই জোর চর্চা চলছে শাহজাহানকে নিয়ে। চর্চায় তাঁর নামাঙ্কিত বাজারও। সন্দেশখালি, ধামাখালি ভেড়ি এলাকায় কোটি কোটি টাকার কারবারের ‘নিয়ন্ত্রক’ এই শাহজাহান। জানা যাচ্ছে এমনটাই। সূত্রের খবর, সরবেড়িয়ায় মাছের আড়ত, একাধিক ইট ভাটা, ফিস প্রসেসিং প্ল্যান্টের ‘মালিকও’ তিনি।
বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মাধক্ষ্যের দায়িত্বে রয়েছেন শাহজহান। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে সরবেড়িয়ায় জোড়া খুনে নাম জড়িয়েছিল তাঁর।
এদিকে সকালের ঘটনার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর সব ফোনই বন্ধ রয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও ফোনে ধরা যায়নি। যা নিয়ে চাপানউতর চলছেই। বর্তমানে কোনও গোপন ডেরাতেই তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।