কলকাতা : কয়লা-কাণ্ডে পরপর দুবার তলব করা হয়েছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে। আগে দুবার হাজিরা এড়িয়ে গেলেও বুধবার অবশেষে নিজাম প্যালেসে হাজির হলেন তিনি। সকাল সাড়ে ১১ টায় তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বেশ খানিকক্ষণ আগেই সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান বিধায়ক। যাওয়ার পথে তিনি কোনও কথা বলেননি, তবে তাঁর চোখে-মুখে দেখা যায়নি তেমন কোনও উদ্বেগের ছাপ। যাওয়ার পথে একাধিক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এ দিন সকালে ক্যানিং-এর বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে তিনি নামেন জীবনতলা বাজারে। সেখানে প্রচুর মানুষ এসে ভিড় করেছিলেন। দলীয় কর্মী-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন সওকত। এলাকার দাপুটে নেতা বলে পরিচিত সওকতের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তলব করার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কর্মীরা। এরপর বোদরা এলাকায় ফের থামে সওকতের গাড়ি। সেখানেও দলের নেতা-কর্মীরা কথা বলতে আসেন বিধায়কের সঙ্গে। পরের গন্তব্য ছিল ঘটকপুর। সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সারেন। দলীয় কাজকর্ম নিয়েই তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পরে বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাডাঙা এলাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তিনি। এরপর পৌঁছন সায়েন্স সিটির কাছে। সেখানেও গাড়ি দাঁড় করানো হয়। এই জায়গাতেই আসেন সওকতের ব্যক্তিগত আইনজীবী। এরপর ফের এগিয়ে যায় বিধায়কের গাড়ি। ঘড়িতে সাড়ে ১১ টা বাজতে তখনও অনেক বাকি। মিন্টো পার্কের কাছে ফের থেমে যান তিনি। রাস্তার ধারে একটি ক্যাফেতে নামেন তিনি। সেখানে চা খেয়ে রওনা হন। ১১ টা ১৬ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছেন সওকত মোল্লা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল থেকে বেআইনি কয়লা পাচার হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ইট ভাটায় যেত। লরিতে করে জেলায় সেই কয়লা পাঠানো হত। সেই সব কয়লা পাচারে সুবিধা করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখার জন্য তলব করা হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, ওই জেলায় কয়লা এলে তা আটকানোর চেষ্টা করতেন কি না, বিধায়ক হিসেবে কী ভূমিকা ছিল সওকতের, এই সব প্রশ্নই করা হবে তাঁকে।