কলকাতা: চা বাগানের মধ্যে একটা ঝুপড়ি ঘর। সেই ঘরে বসেই কষা হয়েছে ছক। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ সরকারি খাতের কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির গোটা প্ল্যানটাই কষা হয়েছে চা বাগানের ঝুপড়িতে বসে। ট্যাব জালিয়াতিতে সরশুনা থানায় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে চা বাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। চোপড়া গিয়ে কলকাতা পুলিশ ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রদের অ্যাকাউন্টের বদলে ট্যাবের টাকা ঢুকেছে ধৃতদের অ্যাকাউন্টে!
প্রসঙ্গত, AEPS অর্থাৎ আধার কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতির আঁতুড়ঘর ছিল এই চোপড়া। সেখানে চা বাগানে ঘর বানিয়ে চলেছিল জালিয়াতির কারবার। সেই একই চক্র ট্যাব জালিয়াতিতেও যুক্ত কিনা তদন্ত করছে লালবাজার।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, যার টাকা পাওয়ার কথা, অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ছাত্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিয়েই জালিয়াতি করা হচ্ছে। কীভাবে নম্বর বদলানো হচ্ছে, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। পুলিশ এটা দেখতে চাইছে, অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল কি স্কুলেই হচ্ছে, নাকি অন্য কোনওভাবে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তা করা হচ্ছে, সেটা দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ট্যাব জালিয়াতিকাণ্ডে চোপড়ার নাম উঠে এসেছিল। তখন প্রকাশ্যে এসেছিল ঝাড়খণ্ডের একটা গ্যাঙের কথাও। এই ক্ষেত্রেও ঝাড়খণ্ডের কোনও গ্যাঙের সঙ্গে চোপড়ার এই দুই ধৃতের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃত দুজনকে ইসলামপুর আদালতে পেশ করা হবে। তারপর তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। তাদের জেরা করে পুলিশ ‘ক্লু’ পেতে চাইছে কীভাবে এই জালিয়াতি হচ্ছে। ট্যাব জালিয়াতিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।