School Drop Out: রাজ্যে স্কুলছুট কত? বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবে সরকার

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 06, 2022 | 5:57 PM

School Drop Out: কোভিড- কালে দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল স্কুল। আর সেই সময় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের মানুষ স্কুল ছেড়ে দিয়েছে।

School Drop Out: রাজ্যে স্কুলছুট কত? বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবে সরকার
ছবি- প্রতীকী চিত্র

Follow Us

কলকাতা: শুধুমাত্র কলকাতা বা রাজ্য নয়, স্কুলছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা ভাবাচ্ছে গোটা দেশের শিক্ষাবিদদের। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরই গোটা দেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুলও। পরে স্কুল অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে বিধি- নিষেধ উঠে গেলেও স্কুল বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। অনলাইনে পড়াশোনা করার মত পরিকাঠামো ছিল না অনেক পড়ুয়ার বাড়িতেই। তাই সেই সময় অনেকে স্কুলছুট হয়ে যায় অনেকে। গোটা দেশে ইতিমধ্যে যে সব সমীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে অনেক পড়ুয়াই পড়াশোনা ছেড়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছে। রাজ্যে কী পরিস্থিতি? কতজন পড়ুয়া এ ভাবে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গ ছেড়েছে, তা জানতেই আলাদাভাবে হবে সমীক্ষা।

কোভিডকালে কারা পড়াশোনা থেকে দূরে চলে গিয়েছে, তার একটা নির্দিষ্ট হিসেব চাইছে সরকার। কয়েকদিন আগে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যায়, রাজ্য সরকার ড্রপ আউট সার্ভে করবে। ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সাহায্য হবে সেই সমীক্ষা। শীঘ্রই সেই সমীক্ষার কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত স্কুল স্তরে ওই সমীক্ষা চালাত রাজ্য। এবার ব্লক স্তরে হবে সমীক্ষা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করবেন শিক্ষাবন্ধুরা। কারা স্কুলছুট হয়েছে? কী কারণে স্কুল ছেড়েছে? তা জানার চেষ্টা করবে।

ড্রপ আউট সার্ভের সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে। ডিজিটালি সেই সমীক্ষার তথ্য জমা হবে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্লাউডে। আনুমানিক মাস দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে স্কুলছুটের হার জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর তা সরকারের হাতে তুলে দেবে।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পড়ুয়ারই অভিভাবকের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু এমনও অনেক পড়ুয়া রয়েছে, যাঁদের বাবা-মা জীবিত, কিন্তু মহামারীর সময়ে পরিস্থিতির চাপে পড়াশোনার মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যারা। শীর্ষ আদালতের আশঙ্কা, অনেকের বাবা-মা কোভিডকালে কাজ হারিয়েছেন, আর তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ছোটদের শিক্ষার ওপর। এবার রাজ্যেও সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে।

Next Article