Student Assault at Hostel: ‘ছেলে যেন বাড়ি ফেরে…’, কান্নায় ভেঙে পড়েন মা, TV9 বাংলার খবরের জেরে ICU বেড পেল নির্যাতিত নাবালক

Sourav Dutta | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 11, 2024 | 5:17 PM

Student Assault at Diamond Harbour: অভিযোগ, মারধর করা হত প্রায়ই। তবে বাড়িতে যাতে না বলে, তার জন্য চাপ দেওয়া হত ওই ছাত্রকে। ছাত্রের মা জানান, অনেক আশা নিয়ে স্কুলে ভর্তি করেছিলেন ছেলেকে। জানতেও পারেননি এসব কথা কোনও দিন। ছাত্রের দিদি জানান, তাঁর ভাইয়ের অবস্থা এখন‌ও সঙ্কটজনক, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সংক্রমণের মাত্রা কমতে চাইছে না।

Student Assault at Hostel: ছেলে যেন বাড়ি ফেরে..., কান্নায় ভেঙে পড়েন মা, TV9 বাংলার খবরের জেরে ICU বেড পেল নির্যাতিত নাবালক
কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের ভয়াবহ ঘটনা উস্কে দিয়েছে যাদবপুরের স্মৃতি। আবাসিক স্কুলে ১০ বছরের পড়ুয়াকে এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে যে হাসপাতালে বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে তাকে। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকরাও নিগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন রিপোর্টে। অভিযোগ, গোপনাঙ্গে ক্ষত থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ, জানতেও দেয়নি হস্টেল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে চিকিৎসা মিললেও মিলছিল না আইসিইউ বেড। TV9 বাংলার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর। ব্যবস্থা হল আইসিইউ-র।

স্বাস্থ্য ভবন থেকে আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা হওয়ার পর TV9 বাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার মা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাঁর মুখে এখন একটাই কথা, ‘ছেলে যেন নিজে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারে।’ ইতিমধ্যে শিশু সুরক্ষা কমিশন।

এস‌এসকেএমে গিয়ে নির্যাতিত ছাত্রের বয়ান রেকর্ড করেছেন জনশিক্ষা দফতরের আধিকারিক। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে রীতিমতো ছুটে চলে যেতে দেখা গেল সেই মহিলা আধিকারিককে। প্রশ্ন করা হলে কার্যত মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের যেটা দায়িত্ব আমরা করে নেব, তার জন্য মিডিয়ার দরকার নেই।”

অভিযোগ, মারধর করা হত প্রায়ই। তবে বাড়িতে যাতে না বলে, তার জন্য চাপ দেওয়া হত ওই ছাত্রকে। ছাত্রের মা জানান, অনেক আশা নিয়ে স্কুলে ভর্তি করেছিলেন ছেলেকে। জানতেও পারেননি এসব কথা কোনও দিন। ছাত্রের দিদি জানান, তাঁর ভাইয়ের অবস্থা এখন‌ও সঙ্কটজনক, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সংক্রমণের মাত্রা কমতে চাইছে না। তাঁর আরও অভিযোগ, হোম কর্তৃপক্ষ ভাইকে তিন দিন ধরে ফেলে রেখে, হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। সে জন্যই আজ ভাইয়ের এই অবস্থা।

উল্লেখ্য, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস জানিয়েছেন, স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করবে কমিশন। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Next Article