শীতলকুচি-কাণ্ডে বয়ান রেকর্ড, ভবানী ভবনে আজ হাজিরা আইসি-সেক্টর অফিসারের

শীতলকুচিতে মোট দুটি মামলা হয়েছে। আর সেই দুই মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। আজ হাজিরা দেবেন তিন জন।

শীতলকুচি-কাণ্ডে বয়ান রেকর্ড, ভবানী ভবনে আজ হাজিরা আইসি-সেক্টর অফিসারের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 10:29 AM

কলকাতা: শীতলকুচির ঘটনায় সদ্য তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিআইডি। বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে সিআইডি-র নেতৃত্বে। আর তারপরই ভবানী ভবনে তলব করা হয় সেক্টর অফিসারকে। সোমবার সকালে ভবানী ভবনে হাজিরা দেবেন সেক্টর অফিসার রাফা বর্মন ও কিউআরটি অফিসার সুব্রত মণ্ডল ও মাথাভাঙা থানার আইসি বিশ্বেশ্বর রায়। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে এ দিন।

শীতলকুচিতে গুলি চলার পর ওই যারা সবার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন তাঁদেরই এ দিন তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কী দেখেছিলেন, গুলি চালানোর বিষয়ে তাঁদের কাছে কী তথ্য ছিল, নির্বাচন কমিশনেই বা তাঁরা কী রিপোর্ট দিয়েছিলেন, এ সব নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হবে।

চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচি কেন্দ্রের একটি বুথে গুলিতে প্রাণ হারান চার জন। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর বক্তব্য ছিল তাঁদের ঘিরে ফেলেছিল কিছু লোক, তাই বাধ্য হয়েই গুলি চালায় বাহিনী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। ঘটনার পর শীতলকুচি যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে শহিদ বেদি তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এই ঘটনার জেরে অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন তিনি। অন্য দিকে বিজেপির দাবি ছিল, মমতার উস্কানিতেই বাহিনীকে ঘিরে ফেলেছিল এলাকার লোকজন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে শপথ নেওয়ার পরই সেই ঘটনার তদন্ত ভার গ্রহণ করেছে সিআইডি।

আরও পড়ুন: ভোটে না জিতেও কী ভাবে মন্ত্রী হচ্ছেন অমিত্র মিত্র?

শীতলকুচির মোট দুটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। প্রথমে মাথাভাঙ্গা থানার ১৮০ নম্বর কেস। আর সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে করা মামলা করা হয়েছে। বুথের বাইরে জড় হওয়া জমায়েতের  বিরুদ্ধে মামলা হয়। আর ১৮১ নম্বর কেসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের তরফে মামলা হয়েছে। বাহিনীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে।