কলকাতা: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ এই নামটার সঙ্গে পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে রোমাঞ্চকর তথ্য। শুনলে অবাক হতে হয় বইকি। চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদেরও। পাড়ায় বাড়ির সামনে স্টল সাজিয়ে এগরোল বিক্রি করতেন। পাড়া সূত্রেই পরিচয় এবং তা এতটাই গভীর হয় যে এগরোল বিক্রেতাকেই কোম্পানির ডিরেক্টর বানিয়ে দেন। অন্তত এমনই তথ্য ইডি তার চার্জশিটে উল্লেখ করে। ইডি-তে নিজের বয়ানেই পরোক্ষে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতার’ কথা স্বীকার ‘কাকু’র।
ইডি আধিকারিকরা চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা সমস্যা পড়লে কাকুর সঙ্গে দেখা করতেন বা নেতাদের মাধ্যমে চিঠি পাঠাতেন। তাঁরা এটাই ভাবতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে কাকু সঠিক জায়গায় তাঁদের বিষয় তুলে ধরতে পারবেন।
সুজয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থা ‘Wealth Wizard’-ই নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কাল টাকা সাদা করার ‘বাহন’ ছিল। এগরোল বিক্রেতা নিখিল হাতিতে নিজের সংস্থায় ডিরেক্টর করেছিলেন সুজয়।
নিজের ‘Wealth Wizard’ সংস্থার এক ডিরেক্টর সমর ভূষণ সরকারকে বিদেশ ভ্রমণে পাঠিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লন্ডন, প্যারিস ভ্রমণের খরচ বহন করেছিলেন।
ইডি আধিকারিকদের একাংশই বলছে, কালীঘাটের কাকুর কীর্তি অপার। ইডি-র দাবি, কাকুই পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বিধানসভার টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন। ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, কাকু নিজেই ঘুরিয়ে এমনভাবে বয়ান দিয়েছেন,যাতে অভিষেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন।