AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Presidency University: পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রেসিডেন্সিতে, মুখোমুখি এসএফআই-টিএমসিপি

SFI-TMCP: এস‌এফ‌আই মহিলা সমর্থকরা ‘চোর’ লেখা পোস্টার তুলে ধরলে ঠিক তাঁর পাশে টিএমসিপি-র পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন টিএমসিপি মহিলা সমর্থকরা।

Presidency University: পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রেসিডেন্সিতে, মুখোমুখি এসএফআই-টিএমসিপি
প্রেসিডেন্সির গেটে উত্তেজনা
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 4:06 PM
Share

কলকাতা: পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। এসএফআই ও টিএমসিপি সমর্থকদের সঙ্গে স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে মুখরিত শিক্ষাঙ্গন। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিক কেন্দ্র করে ‘চোর চোর’ স্লোগানে মুখর হলেন এসএফআই ও আইসি সমর্থকরা উল্টোদিকে ‘এস‌এফ‌আই-এর কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’- পাল্টা স্লোগান তুললেন টিএমসিপি কর্মী সমর্থকেরা। এই স্লোগান-পাল্টা স্লোগানের আবহে উত্তেজনার মুহূর্ত তৈরি হতে সময় লাগল না। প্রেসিডেন্সি গাড়ি বারান্দা থেকে এস‌এফ‌আই-আইসি’র ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে গেটের দিকে এগোতেই গেট টপকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সদ্য প্রাক্তনী রাজন্যা হালদার। সংখ্যাগরিষ্ঠ এস‌এফ‌আই-আইসি ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের মুখে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্সি ইউনিটের কতিপয় সদস্য‌।

এস‌এফ‌আই মহিলা সমর্থকরা ‘চোর’ লেখা পোস্টার তুলে ধরলে ঠিক তাঁর পাশে টিএমসিপি-র পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন টিএমসিপি মহিলা সমর্থকরা। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির এমন ছবিই তো কাম্য। কিন্তু সেই ভাবনায় চপেটাঘাত পড়তে সময় লাগল না।

প্রেসিডেন্সির টিএমসিপি ইউনিটের সদস্যদের সহানুভূতি জানাতে গেটের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন অন্যান্য কলেজের টিএমসিপি সমর্থকরা। অভিযোগ, তাঁদেরই মধ্যে কেউ একজন এস‌এফ‌আই সমর্থককে চড় মারেন। চড় মারার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন টিএমসিপি-র রাজ্য নেতা তথা প্রেসিডেন্সির পর্যবেক্ষক প্রান্তিক চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “টিএমসিপি গোলাপের রাজনীতিতেই বিশ্বাসী।“ কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁদের প্রেসিডেন্সি ইউনিটের সমর্থক অঙ্কন দাসকে চুলের মুঠি ধরে কেন মারধর করা হয়েছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রান্তিক। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এস‌এফ‌আই নেতা দেবনীল পাল জানান, পোস্টার ছেঁড়ার অজুহাতে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের মারধর করা হয়েছে। অসুস্থদের মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানেও আক্রমণ হয়। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের শুক্রবার সরগরম হল প্রেসিডেন্সি চত্বর। প্রেসিডেন্সির হাত ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির আঁচ পৌঁছে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।