কলকাতা: মঙ্গলবার ইনসাফ সভা বামেদের। আনিস খান, মৈইদুল মিদ্দা, সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলে ও সাইফুদ্দিনের বিচার চেয়ে পথে সিপিএম-এর ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোরদার আন্দোলনে বাম ছাত্র-যুবরা।
ইনসাফ সভায় বক্তব্য পেশ করছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আনিস খানের মৃত্যু প্রসঙ্গে সরব তিনি। তাঁর দাবি, জোর প্রতিবাদ হোক, যাতে ভবানী ভবন পর্যন্ত আওয়াজ পৌঁছে যায়।
বামেদের সভা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বামেরা বাংলাকে শ্মশানে পরিনত করেছিল। পরে কংগ্রেস আর আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করতে নেমেছিল। মানুষ কোমর ভেঙে দিয়েছে।
তাঁর দাবি, এত জনসমাগমেও কিছু যায় আসে না তৃণমূলের। তিনি বলেন, কিছু যায় আসে না। বিরোধী ভোট কখন ভাগ হবে, তৃণমূল সেই অপেক্ষা করে না। তৃণমূল সারা বছর মানুষের জন্য কাজ করেন।
বাম ছাত্র-যুবদের সভায় উপস্থিত হলেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। ধর্মতলায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে আনিস খানের জন্য ‘ইনসাফ’ চাইলেন সালেম।
কর্মসূচিতে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী। মঞ্চে বক্তব্য পেশ করছেন তিনি। বক্তব্যে কড়া আক্রমণ শানাচ্ছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। মীনাক্ষীর বক্তব্যে উঠছে করতালির ঝড়।
মিছিল যখন এগিয়ে আসে তখন বোঝাই যায়নি সভা হতে চলেছে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। একেবারে ধর্মতলার চৌরঙ্গি মোড়ের সামনে যখন মিছিল চলে আসে তখন জানানো হয় সভাস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। সভা হবে এই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। এক কথায় প্রাশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ দিন বিক্ষোভে নামেন বামেরা
বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছে মিছিল। ধর্মতলা চত্বরে স্তব্ধ যান চলাচল। তিল ধারনের জায়গা নেই সেখানে।
‘আনিস হত্যার তদন্তের দাবিতে আমরা এসেছি এখানে। চোদ্দ তলার উপর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখে নিক ছাত্র যুবরা রাস্তায় নামলে কী করতে পারে’, বললেন বিক্ষোভরত বাম কর্মী
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ভাঙা হাত নিয়েই এক মহিলা উপস্থিত হয়েছেন এদিনের মিছিলে। তিনি বলেন, ‘আমি এই পার্টিকে ভালবাসি। এই পার্টির জন্য জীবন দিতে চাই। রক্ত দিতে চাই। রাস্তা দিয়ে যদি চলার অল্প ক্ষমতাও থাকে আমি আসব।’
শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে সিপিএম নেতা-কর্মীরা ধর্মতলার উদ্দেশে জড়ো হতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে প্রচুর মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে ওয়াই চ্যানেলে।
কামদুনি থেকে শুরু করে পার্কস্ট্রিট কেউ সুবিচার পাননি। অপরদিকে ইনসাফ পাননি নিয়োগ প্রার্থীরা। তাঁরা এতদিন ধরে বসে রয়েছেন। নিয়োগপত্র হাতে পাননি। যাও নিয়োগপত্র তাঁরা হাতে পাচ্ছেন তাও আবার ভুয়ো। সেই সকল ইনসাফের জন্যই আমরা আজ বিক্ষোভে নেমেছি: ময়ূখ বিশ্বাস
পার্কস্ট্রিট থেকে বিশাল মিছিল করে ধর্মতলার দিকে রওনা ডিওয়াইএফআই কর্মীদের।