কলকাতা: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব তিনি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তা নিয়ে দলের অন্দরে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে ভোটে লড়বেন না ঘোষণা করেও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) বেঙ্গলের রাজ্য সম্পাদক পদে প্রার্থী হলেন শান্তনু সেন। হঠাৎ কেন এই মত বদল চিকিৎসক তথা তৃণমূল এই নেতার? কী বলছেন তিনি?
গত ২২ সেপ্টেম্বর শান্তনু সেন জানিয়েছিলেন, তিনি এবার আইএমএ বেঙ্গলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, অরাজনৈতিক চিকিৎসক সংগঠন হিসেবে দেখতে চান আইএমএ বেঙ্গলকে। তাহলে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত বদল?
প্রশ্ন শুনে শান্তনু সেন বলেন, “শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসক সংগঠন হল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৯-২০ সালে আমি সর্বকনিষ্ঠ চিকিৎসক হিসেবে আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছি। চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন প্রথম বাঙালি। আর আমি নবম বাঙালি যিনি এই পদের দায়িত্ব পেয়েছেন। এবং বেশ কয়েকবছর রাজ্য সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছি। তাই, গত ২২ সেপ্টেম্বর আমি জানিয়ে দিই, এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এবার সম্পাদক পদে দাঁড়াতে সম্মতি দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা। আমি দাঁড়াতে চাই না জানানোর পর অনেক সিনিয়র সিদ্ধান্ত বদলানোর অনুরোধ করেন। আইএমএ-র অনেক ব্র্যাঞ্চ থেকেও অনুরোধ করা হয়। অনেকে ফোন করেন। কেউ মেসেজ করেন। সবার অনুরোধে একদম শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলাই।”
অনেকে বলছেন, এই মুহূর্তে তৃণমূলে প্রায় আক্রমণের মুখে পড়ছেন শান্তনু সেন। দলে কোণঠাসা হয়ে রাজ্যের সর্ববৃহৎ চিকিৎসক সংগঠনের রাশ হাতছাড়া করতে চাইছেন না তিনি। তাই লড়ব না বলেও সিদ্ধান্ত বদল করেছেন তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতা। এই নিয়ে শান্তনু সেন বলেন, “সমালোচকদের বলতে দিন। এতে কিছু যায় আসে না।”
চিকিৎসক সুকান্ত চক্রবর্তী আইএমএ বেঙ্গলের সম্পাদক পদে শান্তুনু সেনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই, সরকারের বিরুদ্ধে কোনও আওয়াজ তুলতে যাতে আইএমএ বেঙ্গল ভয় না পায়। রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা আইএমএ-কে ব্যবহার করতে দেব না। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”