কলকাতা: সুকিয়া স্ট্রিটের একটি কালী পুজোয় এক মঞ্চে দেখা গেল শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই পুজোর আয়োজক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাড়ায় বলা ভাল পুজোটি যেখানে হচ্ছে ঠিক তার উল্টোদিকেই শুভেন্দুর ফ্ল্যাট। সেখানেই এক মঞ্চে শোভন-বৈশাখী-কুণালকে দেখা গেল এক সঙ্গে।
বরাবরের মতো মঙ্গলবারও দেখা গেল শোভন এবং বৈশাখীকে ম্যাচিং করে পোশাক পরেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মেয়রের হাত ধরেই উদ্বোধন হয়েছে কালীপুজোটির। শোভনকে ‘আমার দাদা’ ও বৈশাখীকে ‘ভাল বন্ধু, অধ্যাপিকা, চিন্তাবিদ’ বলে সম্বোধন করেন কুণাল। এ দিন তৃণমূল নেতা বলেন, “সমাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভাল কাজ হচ্ছে । পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন ভাবে খারাপ ঘটনাও ঘটছে।”
এ দিন শোভন বলেন, “আমি মা কালীর থেকে প্রতিদিন মনের জোর পাই।” একই সঙ্গে তিনি মুখ খোলেন আরজি কর ইস্যুতেও। বলেন, “বাংলায় এই ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। নাড়া দিয়েছে মানুষের মনকে। সকলে চেয়েছে অপরাধীরা গ্রেফতার হোক। তিলোত্তমার মূর্তি আরজি করে বসেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী বাধা দেয়নি এই বলে যে এই মূর্তি আমাদের যন্ত্রণা দেয়। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম পৌঁছে গিয়ে বলেছিলেন যে তিনি অপরাধীদের শাস্তি দেবেন। এমনকী বলেছিলেন সিবিআই-এর হাতে তুলে দেবেন।”
বস্তুত, বস্তুত, একসময় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’ বলে প্রকাশ্যেই কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছিল কুণাল ঘোষকে। পাল্টা আবার শোভন ‘জেলখাটা আসামি’ বলে কুণালকে কটাক্ষ করতেও ভোলেননি। শোভন এবং বৈশাখী বিজেপিতে যাওয়ার পরে রাজনৈতিক আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ জারি থেকেছে। পরে যদিও ফিরে আসেন তাঁরা। এরপর থেকে কানাঘুষো শোনা যায় তাঁরা দুজন যোগ দেবেন তৃণমূলে। যদিও, তা হয়নি। পরে সময় গড়ালে কুণাল-শোভনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সুমধুর হয়। এমনকী লোকসভা ভোটের আগে শোভন-বৈশাখীর বাড়িতে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করতেও দেখা যায় কুণালকে। এরপর আজ তৃণমূল নেতার পুজোয় হাজির শোভন।