AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR: সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোটার তালিকায় বড় অমিল! উত্তর ২৪ পরগনায় সর্বোচ্চ ফারাক

SIR: স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। কারণ উত্তর ২৪ পরগনা একটা অত্যন্ত বড় জেলা।  সেখানেই ৪৫ শতাংশের ফারাক। দেখা গিয়েছে, ২০০২ সালে এমন কেউ রয়েছেন, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু কারোর বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নামও ২০২৫ সালে ভোটার তালিকায় রয়েছে। সেই নামগুলো বাদ যায়নি।

SIR: সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোটার তালিকায় বড় অমিল! উত্তর ২৪ পরগনায় সর্বোচ্চ ফারাক
ভোটার তালিকায় বড় ফারাক!Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2025 | 2:00 PM
Share

কলকাতা:  SIR আগে এখন বাংলায় চলছে ‘ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিং’। আর তাতেই ধরা পড়ল ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় ব্যাপক গড়মিল। সবথেকে বেশি ফারাক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনায়। জানা যাচ্ছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় শুধুমাত্র এই জেলার ক্ষেত্রেই ফারাক ৪৫ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মিলেছে ৫৫ শতাংশের ভোটারের নাম।

স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। কারণ উত্তর ২৪ পরগনা একটা অত্যন্ত বড় জেলা।  সেখানেই ৪৫ শতাংশের ফারাক। দেখা গিয়েছে, ২০০২ সালে এমন কেউ রয়েছেন, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু কারোর বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নামও ২০২৫ সালে ভোটার তালিকায় রয়েছে। সেই নামগুলো বাদ যায়নি।

অন্যদিকে, আরও একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলোতে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার ৫১.৩৬ শতাংশ ভোটারের মিল রয়েছে। আলিপুরদুয়ারে ৫৩.৭৩ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬২ শতাংশ, কালিম্পঙে ৬৯.২৭ শতাংশ, পুরুলিয়া ৬১.৬৯ শতাংশ, কলকাতা উত্তরে ৫৫.৩৫ শতাংশ, মালদহে ৫৫.৪৫ শতাংশ মিল রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ভোটারের মৃত্যু, পরিযায়ী শ্রমিক, ঠিকানা বদলের কারণেই কিছু ফারাক রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলা নিয়ে সব থেকে বেশি অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ফারাক সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেই।

উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই অভিযোগ করেছিলেন,  বাংলার ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলা হচ্ছে।  সে বিষয়ে  মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, সীমান্ত এলাকায় প্রথম সপ্তাহেই ৭০ হাজারেরও বেশি ফর্ম জমা পড়েছে। সাধারণত এই সংখ্যাটা থাকে ২০-২৫ হাজার। বিষয়টি নিয়ে আগেই কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসন বেআইনিভাবে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বাংলায় যেভাবে আবেদন জমা পড়েছে, তাতে গোটা রাজ্যের তুলনায় সীমান্তবর্তী এলাকাতেই আবেদনের হার বেশি বলে জানা যাচ্ছে।