SIR বিরোধিতায় তেড়েফুঁড়ে শাসকদল, নভেম্বরের বড় পরিকল্পনা মমতা-অভিষেকের
SIR: SIR বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে বাংলায় যখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, যখন কালীপুজোর পরই বাংলায় SIR শুরু হওয়ার জল্পনা চরমে, তখনই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মমতা।

SIR বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে বাংলায় যখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, যখন কালীপুজোর পরই বাংলায় SIR শুরু হওয়ার জল্পনা চরমে, তখনই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মমতা। বিস্ফোরক মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়েও। যা নিয়ে বিতর্কের জলঘোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, বাংলা থেকে এক জনেরও নাম বাদ গেলে বুঝে নেবেন। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি অভিযোগ করছিল, ওটা বার্তা নয় থ্রেট।
মমতার কথায়, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। একটা প্রবাদ রয়েছে, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়। যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সময় হলে বলব। আশা করি, তিনি খুব বেশি বেড়ে খেলবেন না।’
কটাক্ষ করে বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হয়তো কনফিডেন্ট বিধানসভায় হারবেন। SIR না করতে দেওয়ার জন্য যা যা করার করবেন। আমরা অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মুসলিমমুক্ত ভোটার লিস্ট চাই।”
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বিজেপির নেতাদের কথায় পারস্পরিক বিরোধিতা রয়েছে। এর আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বার করেছিল, ২০১৪ পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের আর অনুপ্রবেশকারী বলা যাবে না। ২০১৪-র পর থেকে আজ পর্যন্ত তাহলে কি এক কোটি লোক ঢুকেছে? ওদের ঘোষণা অনুযায়ী, এক কোটি অনুপ্রবেশকারী যে ২০১৪-র পর থেকে ঢুকল, তখন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স কী করল?”
অন্যদিকে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যদিও বলেছেন, তৃণমূল শহিদ মিনারে বসলে নির্বাচন কমিশন বুঝে নেবে।
