Bird flu: বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে একের পর এক শিশু, কলকাতা থেকে মালদহ ছড়াচ্ছে সর্বত্র

Kolkata: এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপর জুলাই মাসেও আক্রান্তের খবর সামনে আসে। সেই ঘটনার ন'দিনের মাথায় আবারও শিশুদের বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর মিলছে। তবে এই ছয় শিশুর বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।

Bird flu: বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে একের পর এক শিশু, কলকাতা থেকে মালদহ ছড়াচ্ছে সর্বত্র
রাজ্যে বার্ড ফ্লুImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2024 | 3:28 PM

কলকাতা: বর্ষাকালে এমনিই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া সহ একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ে। সম্প্রতি, উত্তরবঙ্গ থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে আবার রাজ্যে বাড়-বাড়ন্ত বার্ড ফ্লুর। ন’দিনের ব্যবধানে ছয় শিশু বার্ড ফ্লু পজেটিভ বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। আক্রান্তেরা মালদহ, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। আক্রান্তের তালিকায় কলকাতার এন্টালি, হালতুর দুই শিশুও রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আইসিইউ-তে(ICU) ভর্তি। পার্ক-সার্কাসের শিশু হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপর জুলাই মাসেও আক্রান্তের খবর সামনে আসে। ঘটনার ন’দিনের মাথায় আবারও শিশুদের বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর মিলছে। যা কার্যত ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। কারণ, এই সকল শিশুরা কোনও একটি এলাকার বাসিন্দা নয়। এদের কারও বাড়ি মালদহ, কারও ২৪ পরগনা কারও হাওড়া। শুধু তাই নয়, এই পরিসংখ্যানটি একটি হাসপাতালের। অন্যান্য হাসপাতালে আদৌ কোনও শিশু ভর্তি রয়েছে কি না সেই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে আক্রান্তদের জিনোম সিকুয়েন্সিং হয়েছে কি না সে সম্পর্কেও জানা যায়নি।

চিকিৎসক সুমন পোদ্দার বলেন, “গত পাঁচ-সাতদিনের মধ্যে ঘরে ঘরে বাচ্চাদের জ্বর-কাশি-সর্দি-গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে। যে বাড়িত ঢুকছি সেই বাড়ির কোনও না কোনও সদস্য আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার মারাত্মক কাশি হচ্ছে। সেটা কমতে কষ্ট হচ্ছে। গলায় প্রচণ্ড ব্যথা। যারা একটু বড় বাচ্চা তারা প্রকাশ করতে পারছে। কারও নিউমোনিয়া আছে। এদের বেশির ভাগই ইনফ্লুএঞ্জা-A, H1N1 পাচ্ছিলাম। সম্প্রতি H3N2 পাচ্ছি।”

রাজ্য়ে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডঃ সিদ্ধার্থ জোয়ারদার বলেন, “প্রথমেই জানা দরকার এটি বার্ড ফ্লু কি না। যতক্ষণ না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ সংক্রমণ কীভাবে হচ্ছে, তা বলা যায় না। জিনোম সিকোয়েন্স, আইসোলেশনের প্রয়োজন সংক্রমণ নিশ্চিত করার জন্য। এই ভাইরাস মানবদেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমণ হচ্ছে নাকি পাখি থেকে মানবদেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেই তথ্যও জানা দরকার। তারপরই সংক্রমণের সূত্র কী, সে সম্পর্কে বলা সম্ভব।”