SSC Case: মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ দেখানো রাসমণির প্রশ্ন, ‘আমরা চাকরিটা কবে পাব?’
SSC Verdict: চাকরির দাবিতে মাথা ন্যাড়া করে রাস্তায় প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন রাসমণি পাত্র। এদিনের রায় শুনে তিনি খুশি, তবে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছেই। বলেন, "আদালতের কাছে একটাই আবেদন, নবম থেকে দ্বাদশ আমরা যারা যোগ্য তারা যেন চাকরিটা পাই। সরকারকেও একই আবেদন করব।"
কলকাতা: দীর্ঘ লড়াই, আদালতে এবং রাজপথে। এসএসসি মামলার রায়দানের পর আবেগে, অভিমানে, যন্ত্রণায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন এসএসসির যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা কেউ বলছেন, “আমাদের তো আটটা বছর পেরিয়ে গেল। আর কত দিন অপেক্ষা করে থাকব? আমাদের অসহায়তার কথা কাকে বোঝাব? আমরা বাঁচতে চাই।”
চাকরির দাবিতে মাথা ন্যাড়া করে রাস্তায় প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন রাসমণি পাত্র। এদিনের রায় শুনে তিনি খুশি, তবে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছেই। বলেন, “আদালতের কাছে একটাই আবেদন, নবম থেকে দ্বাদশ আমরা যারা যোগ্য তারা যেন চাকরিটা পাই। সরকারকেও একই আবেদন করব।”
আরেক চাকরি প্রার্থীর কথায়, পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আট বছর তো যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জীবন থেকে চলে গেল। ২০১৬ সালের প্যানেল, এখন ২০২৪। এরপর আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে গোটা বিষয়টা। প্যানেল বাতিল মানে তো যোগ্যরাও আদালতে যাবে। তাঁরা তো বসে থাকবেন না। এ নিয়ে আবার মামলা হবে। ফলে যোগ্যরা তো বঞ্চিতই থেকে গেল। এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “একদিকে সরকারের দ্বারা বঞ্চিত, আরেকদিকে বিচারব্যবস্থার দ্বারাও বঞ্চিত।”
এই খবরটিও পড়ুন
২০১৬ সালে পরীক্ষা, ২০১৯ সাল থেকে চাকরির অপেক্ষায়। এক চাকরিপ্রার্থী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমরা রাস্তায় পর্যন্ত শুয়েছি। যোগ্য জবাব পেয়েছে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকরা। পুরো টাকা ওদের দিতে হবে আমরা যোগ দেওয়ার পর।”