কলকাতা: হাজার দিন পার করেছে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা। আজ সোমবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও থাকছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ। থাকছেন একাধিক সচিব, আধিকারিকরা। বৈঠকে কি চাকরি-জট কাটবে? এ নিয়ে কুণাল ঘোষ জানালেন, আইনি জটিলতার কথা। সেই জট কাটিয়ে আশার আলো দেখায় তিনিও আশাবাদী বলছেন। তবে চাকরিপ্রার্থীরা আর সময় দিতে নারাজ, তাঁরাও বৈঠকে ঢোকার আগে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
এই বৈঠকে কুণাল ঘোষ ‘শুভানুধ্য়ায়ী’ হিসাবে থাকতে চান বলে আগেই জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন ব্যক্তিগতভাবেই তিনি থাকতে চান এখানে। সোমবার বিকাশ ভবনে রয়েছেন। বৈঠকে ঢোকার আগেই সাংবাদিকদের কুণাল বলেন, “যাদের দোষে এই ভুলগুলো ঘটেছে, তাদের তদন্ত বিচার একটা দিক। তাদের নিয়ে তদন্ত হোক, শাস্তি পাক, উচ্ছন্নে যাক। কিন্তু চাকরির জটটা তো খুলতে হবে। যে ছেলেমেয়েরা চাকরি প্রার্থী হয়ে রয়েছে, তাদের জটটা খোলার একটা প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যে আইন একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী। আলোচনার মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে জটটা কাটবে বলে আমরা আশা করতে পারি।”
এদিকে বৈঠকে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের তরফে রাসমণি পাত্র এদিন বলেন, “আলোচনা বৈঠক অনেক হয়েছে। প্রতিশ্রুতি আমরা অনেক পেয়েছি। নিয়োগের জন্যই এই বৈঠক যেন হয়। এটাই যেন শেষ নিয়োগের শেষ বৈঠক হয়। আর যেন রাস্তায় বসে থাকতে না হয়। আমরা যেন নিয়োগ পেয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে ও বাড়িতে যেতে পারি। আমরা জানতে চাই আর কতদিন গেলে এই নিয়োগটা পাব?”