SSC: আদৌ হবে SLST নিয়োগ?, এসএসসি জানাল…
SLST: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬ সালে প্রকাশি তালিকায় স্বচ্ছতার অভাব আছে। এমনও অভিযোগ, মেধা তালিকায় যাঁদের নাম প্রথমের দিকে, তাঁদের বাদ দিয়ে পিছন থেকে নিয়োগ করা হয়েছে।
কলকাতা: ৯২৩ দিন ধরে গান্ধীমূর্তির নীচে বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ভরসা সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের তৈরি করা অতিরিক্ত শূন্যপদ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হলে তবেই এগোনো সম্ভব স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি (SLST) নিয়োগে। তার আগে নয়। নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়েও এখনই কোনও সদর্থক জবাব নেই কমিশনের। এখনও অনুমোদন পায়নি নিয়োগবিধি সংক্রান্ত প্রস্তাব। তাই হাজার হাজার পড়ুয়া বিএড পাশ করলেও তাঁদের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি কবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। এদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই মামলা সুপ্রিম কোর্ট অবধি যাওয়ার পিছনে কমিশনই দায়ী। তাই এ দায় তাদেরই।
এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬ সালে প্রকাশি তালিকায় স্বচ্ছতার অভাব আছে। এমনও অভিযোগ, মেধা তালিকায় যাঁদের নাম প্রথমের দিকে, তাঁদের বাদ দিয়ে পিছন থেকে নিয়োগ করা হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “সকলেই জানি সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন। সুপার নিউমেরারি পোস্ট সংক্রান্ত বা ২০১৬ সালে এসএলএসটি নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি সংক্রান্ত সব মামলাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তারমধ্যে সুপার নিউমেরারি সংক্রান্ত বিশেষ মামলা সুপ্রিম কোর্টেই আছে। সেখানে শুনানি হলে আমরা আশাবাদী জট কাটবে। তবে সম্পূর্ণ জটমুক্ত হবে নাকি মহামান্য আদালত আবার হাইকোর্টের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলবে তা জানি না। তবে আমরা আশা করছি সুপ্রিম কোর্টে খুব তাড়াতাড়ি এটার একটা ফয়সালা হবে। জটটা কাটল। তারপর কলকাতা উচ্চ আদালতে বিচার হল। এটা নিয়ে আমার পক্ষে বলা মুশকিল।”
এক আন্দোলনকারীর কথায়, “এটা সম্পূর্ণভাবে এসএসসির ভুল সিদ্ধান্তের ফল। তারা অযোগ্যদের নিয়োগ করতে হাইকোর্টে সুপার নিউমেরারি পোস্টের জন্য হলফনামা দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি বিষয়টা যায়। আজ যদি যোগ্যদের জন্য হলফনামা দিত হাইকোর্টে, তাহলে আমাদের এতদিন ধরে বসে থাকতে হত না। কমিশনের ভুলে এই অবস্থা।”
একইসঙ্গে তিনি নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বলেন, নতুন নোটিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়টা কমিশনের উপর পুরোটা নির্ভর করে না। সরকারের কাছ থেকে শূন্যপদ পেলে কমিশন এগোয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের কথায়, “আমরা একটা প্রস্তাবিত বিধিও পাঠিয়েছি। নতুন বিধি অনুমোদিত হয়ে এলে তারপর নতুন বিজ্ঞপ্তির দিকে যেতে পারব।”