কলকাতা: অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে রাজ্যের অন্ত ১৩৪ টি ভেঙে পড়েছে বলে বুধবারই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন এতগুলি বাঁধ ভেঙে পড়ল? এরপরই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বঙ্গ বিজেপি। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বসে মমতা জানিয়ে দেন, কেন এতগুলো বাঁধ ভাঙল তা নিয়ে তদন্ত হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করারও নির্দেশ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এর ফলে পরোক্ষে চাপ বাড়তে পারে রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অধুনা বিজেপির দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। কারণ এই দু’জন নেতা একদা সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের। এই দুই নেতার মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে সায় দিয়েছে মমতার মন্ত্রিসভা। এ বার নতুন করে সেচ বিভাগেও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত হলে রাজীবের উপর চাপ বাড়তে বাধ্য।
মমতা এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আজকেও বিদ্যাধরী নদীর একটা বাঁধ ভেঙেছে। দীঘায় একটা পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে এত বছর ধরে। কেন এত দিন সময় লাগছে। টাকা কি কম নিচ্ছে ? টাকা তো কম নিচ্ছে না। কেন এতদিন সময় লাগছে। এর একটা তদন্ত করা হবে। টাকা তো সব জলেই চলে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: রাজ্যে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক কবে? ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, যে যে রাস্তা ভেঙেছে সেগুলোকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের মধ্যে নিয়ে নিতে হবে। যারা রাস্তা তৈরি করবে তারা যেন তিন বছরের জন্য রাস্তার সব দায়িত্ব নেয়। না হলে সেই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এটা তো সরকারের আইনেই আছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেন মমতা, জারি থাকবে বিধি-নিষেধ